রাজ্যের সব চাকরিতে Transgender-দের জন্য ১ শতাংশের সংরক্ষণ
নিজস্ব প্রতিনিধি: জুন মাস গোটা বিশ্বজুড়ে Pride Month হিসাবে চিহ্নিত হয়। সেই Pride’র নেপথ্য রয়েছে LGBTQ সম্প্রদায়ের মানুষজন। লক্ষণীয় ভাবে সেই জুন মাসেই কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) এক বড়সড় রায় দিয়ে দিল যা রাজ্যের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ বা Transgender-দের জন্য। কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, রাজ্য সরকারের সব চাকরিতে তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্যে ১ শতাংশ সংরক্ষণ(1 Percent Reservation for Third Genders) রাখতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরিপ্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের এক নাগরিকের মামলার সূত্রে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে। এই নির্দেশে বাংলায় এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টের নালসা রায় কার্যকরী হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো বলে মনে করছেন হাইকোর্টের আইনজীবীরা। একই সঙ্গে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আদালতের নির্দেশ, মামলাকারীর জন্যে জরুরি ভিত্তিতে পদ তৈরি করে তাঁকে স্কুলে চাকরির জন্যে ইন্টারভিউয়ে ডাকতে হবে। রাজ্য সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।
এই রায় দেওয়ার আগে উঠে এসেছিল আদালতের পর্যবেক্ষণ। সেখানে ধরা পড়ে ২০১৪ ও ২০২২ সালের TET-এ সফল হয়েও শুধুমাত্র তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী হওয়ায় মামলাকারীর জুটেছে শুধু লাঞ্ছনা আর গঞ্জনাই। তাই হাইকোর্টও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আদালতের নির্দেশের কপি হাতে পেয়েই মামলাকারীর জন্যে ইন্টারভিউ এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে আগামী দিনে তৈরি এমন শূন্যপদে তাঁর নিয়োগ সম্ভব হয়। হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে তামিলনাড়ুর পর পশ্চিমবঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টের নালসা রায় মেনে তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকরা সংরক্ষণের সুযোগ চালু হতে চলেছে। এক দশক আগে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের অধিকারের পক্ষে নালসা রায়ে চাকরিতে সংরক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু কোনও রাজ্যই প্রায় তা বাস্তবায়িত করেনি। সুপ্রিম কোর্ট নালসা রায়ে তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্যে চাকরিতে সংরক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে কত শতাংশ, সে ব্যাপারে কিছু বলেনি। তবে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে ১ শতাংশ সংরক্ষণ রাখতে হবে রাজ্য সরকারের সব চাকরিতেই Transgender-দের জন্য।