জম্মু-কাশ্মীরে তীর্থযাত্রীদের বাসে জঙ্গি হামলা, নিহত ১০ পুণ্যার্থী
নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্রীনগর: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির টানা তৃতীয়বার শপথের দিনেই জম্মু-কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বাসে হামলা চালাল জঙ্গিরা। রবিবার রিয়াসি জেলায় ওই হামলা চলে। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিবর্বষণের হাত থেকে রেহাই পেতে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন চালক। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১০ তীর্থযাত্রী। জঙ্গি হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের বিশাল বাহিনী। আহত তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন রিয়াসি জেলার শিবখোদা মন্দিরে পুজো দিয়ে কাতরায় ফিরছিলেন তীর্থযাত্রীরা। সেই সময়ে আচমকাই বাস লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। গুলি বর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে বাসের গতিবেগ বাড়িয়ে দেন চালক। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে খাদে গড়িয়ে পড়ে বাসটি। বেশ কয়েকবার পাল্টি খায়। যার জেরে অন্তত ১০ জন পুণ্যার্থী ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি থেকে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করা হয়।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। হামলাকারী জঙ্গিদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরে জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য কমেছে বলে লাগাতার ঢাক পিটিয়ে এসেছেন বিদায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু তাঁর ওই দাবি কতটা অসাড়, প্রতি মুহুর্তেই তার প্রমাণ মিলছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের মধ্যেও জঙ্গি হামলায় রক্তে ভিজেছিল উপত্যকার মাটি। গত ১৯ মে শোপিয়ানের হুরপোরা এলাকায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক রাজনৈতিক নেতা। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন এক পর্যটক দম্পতি।