ইজরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ১২ জন ফিলিস্তিনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় আরও ১২ জন নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার(২ জুলাই)এই ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৯ জন রয়েছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে খান ইউনিস ছেড়ে পালিয়েছিলেন।
জাতিসংঘ অনুমান করেছে ২ লক্ষ ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইজরায়েলের সামরিক আদেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে যাতে লোকেরা দক্ষিণ শহর খান ইউনিসের কাছাকাছি এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কারণ গাজায় মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লাখ পৌঁছেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল থেকে শত শত অসুস্থ ও আহত মানুষ পালিয়ে গিয়েছে।এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন জানিয়েছেন, ইজরায়েলি আক্রমণের হাত থেকে হাসপাতালটি যেন রক্ষা পায়, সেই অনুরোধই জানিয়েছেন তিনি।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হওয়ার ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকায় একজন নারী ও একটি শিশুসহ মোট ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৬ এ পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, টানা আট মাস পার হতে চলল। এখনও গাজায় হামলা বন্ধ করে নি ইজরায়েল। ইজরায়েলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঙ্গুত্বের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু একটা অথবা দুটো পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৩৭,৯২৫ জন নিহত এবং ৮৭,১৪১ জন আহত হয়েছে যাঁদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ আগ্রাসনে ত্রাণবাহী কোনো ট্রাকও সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। ট্রাকে করে খাবার এবং বিশুদ্ধ জল নিয়ে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে গাজায় শিশুরা অপুষ্টি এবং জলশূন্যতায় মারা যাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য শেষ সম্বল জলটুকুও পাচ্ছে না তাঁরা।বারবার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। আর তাতেই গাজাবাসীর কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেছে না। তীব্র খিদের জ্বালায় ছটফট করছে গাজার নিরীহ শিশুরা। শুধু শিশু নয় নারী, পুরুষ এবং বয়স্ক লোকজনদেরও অনাহারে থাকতে হচ্ছে।