গাড়ির গোপন কুঠুরি থেকে উদ্ধার ১২০ কেজি গাঁজা
নিজস্ব প্রতিনিধি: গোপন সূত্রে এসেছিল খবর। সেই খবরের ভিত্তিতেই সোমবার সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার(Murshidabad District) হরিহরপাড়া থানা(Hariharpara PS) এলাকার ওপর দিয়ে যাওয়া আমতলা-বহরমপুর রাজ্য সড়কের চোঁয়া এলাকায় চলছিল গাড়ি তল্লাশি। বেলা ১১টা নাগাদ সেখানেই একটি পিকআপ ভ্যানের(Pickup Van) গোপন কুঠুরি থেকে ১২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের STF। জানা গিয়েছে, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশির কাজ শুরু করা হয়। নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়ি আসতেই সেটিকে ঘিরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। কিন্তু গাড়িতে রাখা একটি পাটাতনে চোখ আটকে যায় এক পুলিশকর্তার। তাঁর নির্দেশে পাটাতন ভাঙা হতেই মিলল গোপন কুঠুরির সন্ধান। সেখানেই রাখা ছিল গুচ্ছ গুচ্ছ প্লাস্টিকের প্যাকেট। সেগুলি খুলতেই মিলেছে গাঁজা(Ganja)! পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়িচালককে। ধৃতের নাম শেখর ঘোষ। সে মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে নদিয়ার নবদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গাঁজা। নদিয়ার এক কারবারির কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতেই গাঁজা পাচারের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে গাড়িটি। গাড়িতে রাখা একটি পাটাতনের নীচে বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছে গাঁজা রাখার জন্য। সেখান থেকেই ১২০ কোজি গাঁজা মিলেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, মণিপুরী গাঁজার জোগানে ঘাটতি পড়তেই চাহিদা বাড়ছে ওড়িশার গাঁজার। কেজি পিছু ৫২ হাজার টাকা দরে এই গাঁজা হাত বদল হচ্ছে এখন। তবে এত বিপুল পরিমাণ গাঁজা নদিয়ার কোনও এক নির্দিষ্ট ব্যক্তিকেই পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল না কি একাধিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল, তার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। এই রাজ্যে গাঁজা উদ্ধারের ঘটনা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু গাড়ির ভিতরে গোপন বাঙ্কার তৈরি করে গাঁজা পাচারের ঘটনা সাম্প্রতিককালে সামনে আসেনি।