বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা, ঘোষণা মমতার
নিজস্ব প্রতিনিধি: আলিপুরদুয়ারের(Alipurduyar) মাটিতে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ড মাঠের সভায় যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে রাজ্যের বন্ধ চা বাগানের(Closed Tea Garden) শ্রমিকদের(Tea Garden Workers) প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে মিলবে বিনামূল্যের রেশন, বিদ্যুৎ ও জল। পাশাপাশি যে সব আদিবাসী ভাইবোনের(Tribal Brothers and Sisters) কাছে জাতিগত সার্টিফিকেট(Cast Certificate) নেই, তাঁদের জন্যও বড় বার্তা দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলে দিলেন, যাদের সার্টিফিকেট নেই, তাঁদের পরিবারের যদিও একজনেরও সার্টিফিকেট থাকে তাহলে সেটা দেখিয়েই দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন করলেই মিলবে জাতিগত সার্টিফিকেট।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, এবার থেকে বন্ধ চা বাগানের মালিকদের বাগান খোলার বার্তা দেবে রাজ্য সরকার। সেই বার্তায় কান না দিলে বা বাগান না খুললে, কিংবা মালিকের সন্ধান না মিললে সেই বন্ধ চা বাগান অধিগ্রহণ করবে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা প্রদানের কাজ চালিয়ে যাবে রাজ্য সরকার। যে চা বাগান এই পাট্টা প্রদানের কাজে সহায়তা করবে না, প্রয়োজনে সেই চা বাগান অধিগ্রহণ করতেও পিছুপা হবে না রাজ্য সরকার। যে সব চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের সেই জমিতে বাড়ি করার জন্য রাজ্য সরকার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করেও দেবে। চা বাগানের শ্রমিকদের মেয়ের বিয়েতে রাজ্য সরকার ২৫ হাজার টাকা করে দেবে। সেই সঙ্গে ডুয়ার্সে যারা জাতিগত ভুয়ো সার্টিফিকেট ইস্যু করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার। যারা সেই ভুয়ো সার্টিফিকেট বাগিয়েছে সেই সব সার্টিফিকেটও বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চা বাগানের শ্রমিকদের প্রত্যেককে জমির পাট্টা দেব। আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি মিলিয়ে এই দফায় ১৩ হাজার জমির পাট্টা দেওয়া হবে। এর মধ্যে শুধু আলিপুরদুয়ারে ৪ হাজার ৬৪২ জন চা শ্রমিককে পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। বাকি জায়গায় যত দ্রুত সম্ভব পাট্টার ব্যবস্থা করা হবে। 'পাট্টার সঙ্গে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেব, বাড়ি করে নিতে পারবেন। আলিপুরদুয়ারের ৯০ হাজার কৃষক ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের জন্য খরিফ শস্যের টাকা পেয়ে যাবেন।’ জেলা প্রশাসনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো বন্ধ চা বাগান অধিগৃহীত হলে জেলার প্রায় ৩০ হাজার চা শ্রমিক প্রত্যক্ষ ভাবে উপকৃত হবেন।