For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

১ বছরে রাজ্যের সংশোধানাগারগুলিতে গর্ভবতী হয়েছেন ১৯৬জন মহিলা

রাজ্যের নানা মহিলা সংশোধানাগারে থাকা মহিলা বন্দীরা গত ১ বছরে ১৯৮টি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এই নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে।
01:38 PM Feb 08, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
১ বছরে রাজ্যের সংশোধানাগারগুলিতে গর্ভবতী হয়েছেন ১৯৬জন মহিলা
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভয়ঙ্কর ঘটনা। রাজ্যের নানা মহিলা সংশোধানাগারে(Women Correctional Home) থাকা মহিলা বন্দীরা(Women Prisoners) গত ১ বছরে ১৯৮টি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এই সব মহিলাদের কেউই সংশোধনাগারে আসার সময় গর্ভবতী(Pregnant) ছিলেন না। অন্তত সেই সময়কার শারীরিক পরীক্ষায় তা ধরাও পড়েনি। অর্থাৎ তাঁরা গর্ভবতী হয়েছেন এবং শিশুর জন্ম দিয়েছেন সংশোধনাগারে থাকার সময়েই। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এটা সম্ভব হল? কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) এদিন এই ঘটনা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা(Public Interest Litigation) দায়ের হতেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। মামলার মর্মার্থ শুনেই এই ঘটনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে তিনি জানান এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং এই মামলাটি অপরাধমূলক মামলার শুনানি হয় এমন ডিভিশন বেঞ্চেই পাঠানো হচ্ছে। আগামী সোমবার সেখানেই এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এক আদালত বান্ধব ব্যক্তির তরফে এদিন জনস্বার্থ মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। সেই মামলাই এদিন শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবাজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানিকালে মামলাকারী জানান, ‘গত ১ বছরে রাজ্যের নানা মহিলা সংশোধানাগারে বন্দী থেকে মহিলা বন্দীরা ১৯৬টি শিশুর জন্ম দিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান রাজ্য সরকারেরই। সেখানে যেহেতু এটা উল্লেখ করা নেই যে কোনও মহিলা যমজ বা একাধিক শিশুর জন্ম দিয়েছেন, তাই ধরেই নেওয়া যায় ১৯৬জন মহিলাই সংশোধানাগারে থাকাকালীন সময়ে সেখানে গর্ভবতী হয়েছেন। কীভাবে এটা সম্ভব? মহিলাদের স্বামী বা পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন যদি সংশোধনাগারের মধ্যেই হয়ে থাকে তাহলে তা একমাত্র আদালতের নির্দেশেই সম্ভব। অথচ এই ১৯৬জন মহিলা বন্দীর ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনও রায় রাজ্যের কোনও আদালত দেয়নি। এমনকি সরকারি নথিও বলছে এই মহিলাদের স্বামী বা কোনও পুরুষ বন্দী কিংবা পরিবারের কোনও সদস্য সংশোধনাগারে এসে তাঁদের সঙ্গে বড় সময় কাটাননি। তাহলে সংশোধনাগারের মধ্যে এতজন মহিলা বন্দী কীভাবে গর্ভবতী হয়ে পড়লেন?’

Advertisement

মামলাকারীর দাবি, ‘এই ঘটনা তখনই ঘটা সম্ভব যখন মহিলা সংশোধানাগারে পুরুষ কর্মীদের অবাধ বিচারণ ঘটে। তাই দ্রুত আদালতকে নির্দেশ দিতে হবে যাতে রাজ্যের কোনও মহিলা সংশোধানাগারে একজনও পুরুষ কর্মী না থাকেন বা সেখানে প্রবেশ করতে না পারেন। এই ১৯৬জন মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়ার জেরে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও এটা জানা খুবই প্রয়োজন যে তাঁরা যে পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে গর্ভবতী হয়েছেন তা স্বেচ্ছায় করেছিলেন নাকি তাঁদের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছিল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্য। যদি চাপ দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে তাহলে তো এই ঘটনা গণধর্ষণের থেকে কিছু কম নয়। সংশোধানাগেরের ভিতরে সেখানকার পুরুষকর্মীরাই মহিলা বন্দীদের সঙ্গে ফূর্তি করছেন এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনার তাই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। তা সে সিআইডি হোক কী সিবিআই। এই ঘটনায় জড়িত ও দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে তাঁদের সাজা দিতেই হবে।’ মামলাকারীর সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ সম্পূর্ণ সহমত হলেও এদিন তাঁরা সিবিআই বা সিআইডি তদন্তের কোনও নির্দেশ দেননি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন মামলাটি আগামীও সোমবার থেকে হাইকোর্টেরই অপরাধমূলক মামলার শুনানি হয় এমন ডিভিশন বেঞ্চেই শুনানির জন্য উঠবে এবং সেই বেঞ্চই তদন্ত নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা নেবে।

Advertisement
Tags :
Advertisement