২০-২৫ ফ্ল্যাটের বিল্ডিং হলেই দিতে হবে জলের জন্য অতিরিক্ত কর
নিজস্ব প্রতিনিধি: খাস কলকাতায়(Kolkata) ফ্ল্যাট কিনছেন? যদি কেনেন তাহলে নয়া করের নিয়মও জেনে নিন। আর সেটাও জলের জন্য। বাংলার শাসক দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হল, জল কর নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু পানীয় জল সরবরাহ পরিষেবা পৌঁছে দিতে বা তার পরিকাঠামো উন্নয়নের(Infrastructure Development Fee for Water Supply) জন্য টাকা নেওয়া যেতেই পারে। এতদিন পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে জল সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করতে যে কর চালু ছিল, তা বৃদ্ধি করল কলকাতা পুরনিগম(KMC)। এতকাল কয়েকটি Multi Complex বা আবাসন কিংবা বৃহৎ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এই টাকা নেওয়া হতো। এবার অপেক্ষাকৃত ছোট বা মাঝারি আয়তনের বহুতলের(High Rise Building) ক্ষেত্রেও এই টাকা দিতে হবে। বাড়ির নকশা অনুমোদনের সময় এককালীন সেই টাকা নেওয়া হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে এই নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। এর ফলে পুরনিগমেরও আয় বাড়তে চলেছে। নাগরিক পরিষেবা আরও ভালোভাবে দেওয়া যাবে বলেও মনে করছে পুর কর্তৃপক্ষ।
কলকাতার বহু জায়গায় বড় আকারের বহুতল বা আবাসন তৈরি হয়েছে। আগামিদিনে আরও হবে। ফলে বাড়বে ওই সব এলাকার জনসংখ্যাও। ফলে পুরনিগমকেও সেখানে সেখানে রাস্তা, নিকাশির উন্নয়ন সহ পানীয় জলের সরবরাহ করতে নয়া পাইপলাইন পাততে হবে। ওই চাপ সামলাতে যে বাড়তি জল সরবরাহের দরকার হবে তখন নতুন পাইপলাইন পাতার পাশাপাশি প্রয়োজনে কোথাও কোথাও বুস্টার পাম্পিং স্টেশনও তৈরি করতে হয় পুরনিগমকে। এসবের খরচ প্রচুর। তাই বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের সময় এই পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ফি নেওয়া হয়। এতদিন নিয়ম ছিল ১০০টির বেশি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট আবাসন কিংবা ১০ হাজার বর্গমিটারের বেশি আয়তনের বাণিজ্যিক বাড়ি হলে সেখানে পানীয় জল পরিষেবার উন্নতিতে এই ফি নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে দিতে হতো এককালীন ৪০০ টাকা। এবার সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে।
সম্প্রতি কলকাতা পুরনিগমের মাসিক অধিবেশনে পাস হওয়া নথি অনুযায়ী, নয়া নিয়মে ফ্ল্যাটের সংখ্যার উল্লেখ করা হচ্ছে না। তুলে দেওয়া হয়েছে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক বিভাজনও। এবার থেকে ২০০০ বর্গমিটারের বেশি আয়তনের বাড়ি বানালেই সেখান থেকে এই অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক কম করা হয়েছে। প্রতি বর্গমিটারে দিতে হবে এককালীন ১০০ টাকা। হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, শহরে ২০ থেকে ২৫টি ফ্ল্যাটের কোনও আবাসন তৈরি হলেই সেখানে এই নয়া কর বিধি লাগু হয়ে যাবে। অর্থাৎ যদি সেখানে এক একটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৪০০ বর্গমিটার হয় এবং সেখানে যদি ২০টি ফ্ল্যাট থাকে তাহলে এককালীন ৮ লক্ষ টাকা। সেই কর প্রোমোটারকে বা আবাসন নির্মাতা সংস্থাকেই দিতে হবে।