সুনককে কুর্সি থেকে উচ্ছেদের নায়ক কিয়ের স্টারমার সম্পর্কে অজানা তথ্য
নিজস্ব প্রতিনিধি, লন্ডন: মাত্র চার বছর আগে লেবার পার্টিকে নেতৃত্ব দেওয়ার গুরুদায়িত্ব বর্তেছিল তাঁর কাঁধে। আর দায়িত্ব নিয়েই বাজিমাত করলেন স্যার কিয়ের স্টারমার। দীর্ঘ ১৪ বছর বাদে ফের ব্রিটেনে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনলেন দলকে। শুধু ফেরালেন না, অতীতের অনেক রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিলেন।
৬১ বছর বয়সী স্টারমারের জন্ম রাজধানী লন্ডনে। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে আইনজীবী হিসাবেই শুরু করেছিলেন কর্মজীবন। অল্প দিনের মধ্যেই মানবাধিকার আইনজীবী হিসাবে সুনাম কুড়ান। ব্রিটেনের সরকারি আইনজীবীদের দফতর পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালকের দায়িত্বও সামলেছিলেন। ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়ায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ব্রিটেনের রাজার তরপে নাইট উপাধিও পান। আইন পেশায় জড়িত থাকার পাশাপাশি রাজনীতিতেও জড়িয়ে পড়েন স্টারমার। লেবার পার্টিতে যোগ দিয়ে ক্রমেই শীর্ষ পদে উঠে আসেন। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে জেরেমি করবিনের উত্তরসূরি হিসাবে লেবার পার্টির দায়িত্ব নেন। তার পরে টানা চার বছর ধরে দলকে নতুন করে সংগঠিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থেকে ঝিমিয়ে পড়া লেবার পার্টির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করেন। ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখান। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের জমানায় সরকারি সেবার মান কমে যাওয়া এবং জীবনযাত্রার মান নিম্নমুখী হওয়ার মতো সংবেদনশীল বিষয়কে নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করেছিলেন স্টারমার। পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর সেই প্রতিশ্রুতির উপরে ভরসা রেখেছেন ব্রিটেনবাসী।
আইন ও রাজনীতি জগতের পাশাপাশি ফুটবলেরও ভীষণ ভক্ত কিয়ের স্টারমার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব আর্সেনালের কট্টর সমর্থক হিসাবেই পরিচিত ব্রিটেনের ভাবী প্রধানমন্ত্রী। সমর্থকদের কাছে স্টারমার বাস্তববাদী মানুষ হিসাবেই পরিচিত। যদিও সমালোচকরা ব্রিটেনের ভাবী প্রধানমন্ত্রীকে উদারপন্থী নন, বরং পুরনো ধ্যান-ধারনার রাজনীতিবিদ হিসাবেই চিহ্নিত করেছেন।