রবিবার পার্ক স্ট্রিটে আড়াই হাজার পুলিশ কর্মীর কড়া নজরদারি
নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্ষবরণের রাতে আজ রবিবার পার্ক স্ট্রিটের নিরাপত্তায় প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ কর্মী রাস্তায় নামছেন। রাত বারোটার সময় বর্ষবরণের মুহূ্তে বাইক আরোহী বহু যুবক বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। তাই এ ব্যাপারে এবার কলকাতা পুলিশ আরও কড়া হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, পার্ক স্ট্রিটের উপর পুলিশের মূল নজর থাকলেও বউবাজার, নিউ মার্কেট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, উল্টোডাঙ্গা, মানিকতলা,তালতলা-সহ তার আশপাশের অঞ্চল ও বাইপাসের(BY Pass) উপরও থাকছে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ। রবিবার বিকেল থেকেই পুরো পার্ক স্ট্রিট ভাগ করা হচ্ছে ৬টি সেক্টরে।
প্রত্যেক সেক্টর-সহ পুরো পার্ক স্ট্রিটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ১০জন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশকর্তা। এ ছাড়াও তাঁর সঙ্গে থাকছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ইন্সপেক্টর ও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। তিনটি ওয়াচটাওয়ার থেকে থাকবে পুলিশের কড়া নজরদারি। ওয়াচ টাওয়ারে থাকা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে লালবাজার(Lalbazar) কন্ট্রোল রুম।এ ছাড়াও আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকেও বাইনোকুলার নিয়ে নজর রাখবেন পুলিশকর্মীরা। প্রয়োজনমতো পার্ক স্ট্রিটের রাস্তায় রাতে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। ‘ওয়াকিং বে’ হলে পার্ক স্ট্রিট ধরে গিয়ে শেক্সপিয়র সরণি হয়ে বের হতে হবে। সেই ক্ষেত্রে ময়দানের কাছে গাড়ি রেখে রেস্তোঁরা ও পানশালায় হেঁটেই যেতে হবে।
পার্ক স্ট্রিটের(Park Street) ভিড়ে যাতে ইভটিজিং বা শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা না ঘটে, তার জন্য তৈরি থাকছে সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশের টিম। বর্ষবরণের রাতে হেলমেট না পরে ও লাইসেন্স ছাড়াই ট্রাফিক আইন ভেঙে বাইক চালানোর প্রবণতা থাকে অনেকের। ট্রাফিক আইন ভাঙলেই সেই বাইক চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মদ্যপ গাড়ি ও বাইক চালক ধরতে প্রত্যেকটি গুরুত্বপুর্ণ রাস্তায় থাকবে নাকা চেকিং। রবিবার ও সোমবার সকাল থেকে চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, ময়দান, কালীঘাট মন্দির, মিউজিয়ামে নজরদারির জন্য অতিরিক্ত বাহিনী টহল দেবে। মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য মহিলা স্কুটি বাহিনী ‘উইনার্স’-এর সদস্যরা এই জায়গাগুলিতে টহল দেবেন বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার পুলিশ কমিশনার(CP) বিনীত কুমার গোয়েল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২৪ ও ২৫শে ডিসেম্বরের মতোই নাগরিকদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে প্রস্তুত ফোর্স।