জমি দখল করে প্রায় ২৬১ কোটির সম্পত্তি শাহজাহানের, রিপোর্ট ED’র
নিজস্ব প্রতিনিধি: শেখ শাহজাহান(Sheikh Sahajahan) আর সন্দেশখালি(Sandeshkhali) এখন সমার্থক হয়ে গিয়েছে বঙ্গবাসীর কাছে। শাহজাহান এবং তাঁর শাগরেদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠলেও সময়ের স্রোতের সঙ্গে সঙ্গে তা ক্রমশ ফিকে হতেও শুরু করে দিয়েছে। বরঞ্চ সামনে আসছে বাম ও বিজেপি কীভাবে হাতে হাত রেখে সন্দেশখালিতে নোংরা রাজনীতির পাশাপাশি অশান্তি ও উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়েছিল। কার্যত শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, গণধর্ষণের যে সব অভিযোগ উঠছিল তা যে রীতিমত চক্রান্ত করে মিথ্যা দাবি করা হয়েছিল তা সামনে চলে এসেছে বেশ কিছু বিজেপি নেতার অডিও ফাঁসকাণ্ডে। এই আবহেই এদিন অর্থাৎ সোমবার সেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে আদালতে Chargesheet জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED। তাতেই তাঁরা জানিয়েছে যে, শাহহাজান সন্দেশখালিতে জমি দখল করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার(261 Crore Rupees) সম্পত্তি(Property) করেছে।
মার্চের গোড়ায় শাহজাহান এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আটক করেছিল ED। তার পর আবার মে মাসে দ্বিতীয় দফায় তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি আটক করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গত ১৭ মে ED’র তরফে জানানো হয়, শাহজাহানের ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা আটক করা হয়েছে। তার পাশাপাশি, ৫৫টি স্থাবর সম্পত্তি, যার বাজার মূল্য ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, তা-ও আটক করা হয়েছে। শাহজাহানের পাশাপাশি, শেখ আলমগির, শেখ সুমাইয়া হাফিজ়িয়া ট্রাস্ট আব্দুল আলিম মোল্লা, শিবপ্রসাদ হাজরা-সহ অন্যদের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তিও রয়েছে। ED আরও জানিয়েছিল যে, আটক করা স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ৩৮.৯০ বিঘা জমি যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। দু’দফায় ২৬১ কোটি টাকার বেশি আটক করার কথা সে সময় ED’র তরফে জানানো হয়েছিল।
এদিন ED’র আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘তদন্তের ৫৬ দিনের মাথায় Chargesheet জমা হল। অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে জমি দখল এবং তোলাবাজির মাধ্যমে সম্পত্তি করার অভিযোগ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে এই সম্পত্তি করা হয়েছে। Chargesheet-এ জানানো হয়েছে, আনুমানিক ১৮০ বিঘা জমি দখল করেছেন শাহজাহান। তবে সেই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ১১৩ পাতার চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে রয়েছে শাহজাহানের ভাই আলমগিরের নামও। এ ছাড়াও দিদার বক্স মোল্লা, শিবপ্রসাদ হাজরার নাম রয়েছে অভিযুক্ত হিসাবে। সাক্ষী হিসাবে সরকারি আধিকারিকদেরও বয়ান নেওয়া হয়েছে। সিবিআই সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়ে যে অস্ত্র উদ্ধার করেছিল, সে কথাও উল্লেখ আছে চার্জশিটে।