১ দিনে ক্ষতি ৩০ লক্ষ কোটি, আবারও তদন্ত চেয়ে SEBI-কে চিঠি সাকেতের
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(Loksabha Election 2024) ফল প্রকাশের আগে দেশবাসীকে শেয়ার বাজারে(Share Market) বিনিয়োগের বার্তা(Investment Message) দিয়েছেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। ঠিক তার পরে পরেই দেখা যায়, মাত্র ১ দিনে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দেশবাসীর। এই ঘটনায় এবার খোদ মোদি আর শাহের বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারকে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে SEBI বা Securities and Exchange Board of India’র দ্বারস্থ হল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা SEBI’র কাছে আগেই ওই ঘটনার তদন্ত চেয়ে তৃণমূলের তরফে চিঠি দিয়েছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের জাতীয় স্তরের মুখপাত্র সাকেত গোখেল(Saket Gokhale)। এদিন তিনি আরও বিস্তারিত তদন্ত চেয়ে ফের SEBI-কে চিঠি দিয়েছেন। SEBI’র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠি পাঠিয়ে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে সাকেত। তাঁর দাবি, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলে বিনিয়োগকারীদের কার্যত প্রভাবিত করেছেন মোদি আর শাহ!
শেয়ার বাজারে মাত্র ১ দিনে যে ধস নেমে দেশের আমজনতার ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সেই ঘটনায় তদন্তে চেয়ে আগেই তৃণমূলের তরফে SEBI-কে চিঠি দিয়েছিলেন সাকেত। সেই চিঠি তিনি দিয়েছিলেন গত ৫ জুন। আর এদিন তিনি দিলেন দ্বিতীয় চিঠি। সেবিকে দেওয়া প্রথম চিঠিতে সাকেতের দাবি ছিল, ভুয়ো বুথ-ফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে শেয়ার বাজারের সূচককে তোলা হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার আবার নতুন অভিযোগ তুলে তিনি সেবির দ্বারস্থ হয়েছেন। এবার তাঁর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে মানুষকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলেছিলেন মোদি-শাহ। তাঁদের ওই মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোনও কারচুপি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি, ৩ জুন এবং ৪ জুন শেয়ার বাজারে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার কারণে মোদি, শাহ বা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনও সংস্থা মুনাফা লাভ করেছে কিনা, তারও তদন্ত প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন সাকেত।
উল্লেখ্য, মোদি নিজে দাবি করে বলেছিলেন, ৪ জুনের পরে শেয়ার বাজার এত দৌড়বে যে হাঁফ ধরে যাবে। শাহও সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে রাখার। তাঁর বক্তব্য ছিল, ৪ জুনের পর বাজার চড়বে। বাস্তবেও বুথ-ফেরত সমীক্ষাও মোদি সরকারের বিপুল আসনে জিতে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল সূচক। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ফল বেরনোর দিন ৪০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স। লগ্নিকারীদের ৩১ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়। এর পরেই ৫ জুন সেবির দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। ভুয়ো বুথ-ফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে সূচককে তোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে পূর্ণ তদন্তের দাবি তুলে সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সাকেত। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বুথ-ফেরত সমীক্ষায় জড়িত একটি সংস্থাকে বিজেপি নিজস্ব সমীক্ষা চালানোর জন্য ভাড়া করেছিল। সেই সংস্থা আবার সংবাদমাধ্যমের জন্যও সমীক্ষা করেছে। ওই সংস্থা ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল কি না এবং কোন কোন সংস্থা বাজারের ওঠানামা থেকে মুনাফা কুড়িয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিল তৃ়ণমূল।