৪০০ বছরের পুরনো বর্ধমান রাজবাড়িতে নতুন ছবির শুটিংয়ে কাজল-রণিতরা
নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউড তারকাদের কলকাতায় যাতায়াত তো লেগেই রয়েছে। কখনও তাঁরা শুটিংয়ের কাজে, কখনও কোনও গহনার আউটলেট উদ্বোধনে বা কখনও ছবির প্রচারে কাজে চলে আসেন কলকাতায়। আর তাঁদের পেয়ে বাঙালিরা যে আহ্লাদে আটখানা হয়ে পড়েন, তা বলাই বাহুল্য! কলকাতায় এসে কেউ কেউ গোটা কলকাতায় ঘুরে বেড়ান, ট্যাক্সি চাপেন, আবার কেউ কলকাতার প্রিয় খাবার ফুচকার প্রেমে বুঁদ হয়ে যান। যাই হোক, শুটিংয়ের কাজে গত শুক্রবার কলকাতায় এসেছেন বলিউডের বাঙালি কন্যা তথা সুপারস্টার অভিনেত্রী কাজল। তাঁর সঙ্গে এসেছেন আরও এক জনপ্রিয় অভিনেতা রণিত রায়। স্বাভাবিকভাবে বিমানবন্দর থেকেই তাঁদের ঘিরে আমজনতার উত্তেজনা শুরু হয়ে যায়। পরে শোনা যায়, শুটিংয়ের জন্যে প্রায় অনেকগুলি দিন পশ্চিমবঙ্গে থাকবেন কাজল।
বর্ধমান, শান্তিনিকেতন- এসমস্ত জায়গা জুড়েই কাজলের আসন্ন 'হরর' ছবি 'মা'-এর শুটিং হবে। ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন রণিত রায়ও। এই মূহুর্তে বর্ধমানের চারশো বছরের পুরনো রাজবাড়িতে শুটিং চলছে কাজলের নতুন ছবির। অভিনেত্রীর সঙ্গেই রয়েছেন রণিত রায়। অনেক ইতিহাসে মোড়া বর্ধমানের এই রাজবাড়ি। শোনা যায়, এটি পরমানন্দ রায়ের রাজবাড়ি। যিনি চারশো বছর আগে বর্ধমান রাজার দেওয়ান ছিলেন। সেই সূত্রেই কাঁকসার এক বিরাট অংশের জমিদারিত্ব হাতে আসে তাঁর। জঙ্গল কেটে তৈরি হয় বিশাল রাজবাড়ি। এর সঙ্গে যুক্ত পুকর, বাগানের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছিল দুর্গা মন্দিরও। এই বাড়ি বর্তমানে কালিকাপুর রাজবাড়ি নামেও খ্যাত। শুধু এই প্রথম নয়, এই বাড়িতে গা ছমছম ব্যাপার আছে বলে, একাধিক ভৌতিক সিনেমার শুটিং হয়েছে এখানে।
এবার বলিউডের ছবিতেও চিহ্ন রাখতে চলেছে এই রাজবাড়ি। সূত্র খবর, ছবির পরিচালক বিশাল ফুরিয়া। আর ছবির প্রযোজক কাজলে স্বামী অজয় দেবগন। শনিবার থেকেই কালিকাপুর রাজবাড়িতে শুটিং শুটিং শুরু হয়েছে ছবির। জানা গিয়েছে, আদুরিয়া, কালিকাপুর জঙ্গলেও শুটিং হতে পারে। এদিকে বাংলায় এসে বীরভূমের কঙ্কালীতলায় পুজোও সেরেছেন অভিনেতা রণিত রায়। শক্তিপীঠ দর্শন করতে গিয়ে একাধিক ভক্তের সঙ্গে দেখা করে ছবিও তোলেন বলিউডের জনপ্রিয় এই তারকা। আর সেখানে অদ্ভুত কাণ্ডও ঘটল অভিনেরা সঙ্গে। জেতা ফেসবুকে নিজের ভাষায় ব্যক্ত করলেন অভিনেতা। লিখলেন, “মা কালী ও ভোলেবাবা আমাকে টেনেছেন, তাই আমি এসেছি। কী সুন্দর ভাবে পুজো দিলাম! মায়ের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য আমি লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎই কোথা থেকে একজন উদয় হয়ে আমাকে সোজা মায়ের কাছে নিয়ে গেল। পুরোহিত মশাই পুজো নিলেন। মনে হচ্ছিল, আমার জন্যই গোটা মন্দিরটা এতদিন অপেক্ষা করছিিল। পুজো শেষ করে অনুরাগীদের কাছ থেকে এত ভালোবাসা পেলাম, মন জুড়িয়ে গেল। জয় মা কালী, জয় মহাদেব।”