For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

ঢাকার বহুতলে আগুন লেগে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু ৪৪জনের

বাংলাদেশের ঢাকায় বহুতলে আগুন লাগার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৪৪। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
09:17 AM Mar 01, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
ঢাকার বহুতলে আগুন লেগে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু ৪৪জনের
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও আগুনের গ্রাসে ঢাকার জনজীবন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের(Bangladesh) রাজধানী(Capital City) ঢাকার(Dhaka) বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন(Fire) লাগার ঘটনা ঘটে। ২ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যান ৪৪জন নাগরিক(Death of 44 Person)। মৃতদের মধ্যে অনেকেই মহিলা ও শিশু বলেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রাত ১০টা নাগাদ বেইলি রোডের ৭ তলা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলে ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি খাবারের দোকান রয়েছে। সেখানেই সবার আগে প্রথম আগুন লাগে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে। তারপর সেই আগুন ক্রমশ ওপরের তলগুলিকে গ্রাস করে। ওই বহুতলে খাবারের দোকান ছাড়াও জামাকাপড়, মোবাইল এবং অন্যান্য দোকান ছিল। নিত্যদিন সেখানে সন্ধ্যার পরেই ভিড় জমাতে শুরু করেন ঢাকার আমজনতা। কেউ আসেন কেনাকাটা করতে, কেউ আসেন পরিবার নিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে। গতকালও সেইরকমই চলছিল। কিন্তু রাত ১০টার পরেই সব ছবি বদলে যায়।

Advertisement

জানা গিয়েছে রাত পৌনে ১০টা নাগাদ প্রথম সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। তারপরেই আস্তে আস্তে আগুনের গ্রাসে চলে যায় ওই অভিশপ্ত ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তল। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের কর্মীরা। সেই সময় ওই বহুতলে শতাধিক মানুষ ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। নীচ থেকে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও আগুন ক্রমশও ওপরের আরও ৩-৪টি তলায় ছড়িয়ে পড়ে। একইসঙ্গে একের পর এক সিলিন্ডার ফাটতে শুরু করে সশব্দে। আরা তাতেই আগুনের লেলিহান শিখা ভয়াবহ আকার ধারন করে। অনেকেই প্রাণে বাঁচতে ভবনটির ছাদে উঠে যান। তারপরেও অনেকে ভেতরেই আটকে পড়েন। রাত ১১টা ৫০ নাগাদ মোট ১৫টি দমকলের ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু ততক্ষণে গোটা ভবনটিই চূড়ান্ত ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গিয়েছে। তারপরেই শুরু হয় উদ্ধারকার্য। বহুতলটির ভিতর থেকে মোট ৭৫ জনকে জীবিত অবস্থায় বাইরে বার করে আনতে সক্ষম হন দমকলের কর্মীরা। এদের মধ্যে ৪০জনকে ভর্তি করা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

Advertisement

উদ্ধারকার্যের কাজ যত এগোয় ততই ওই বহুতম ভবনের প্রথম থেকে চতুর্থ তলা থেকে দগ্ধ দেহ উদ্ধার হতে থাকে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪৩জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় জানা গেলেও সব দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, ‘কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যাটি আরও বাড়তেও পারে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।’ এদিন সকাল থেকেই মরদেহগুলি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা শুরু হয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ হিসাবে বাংলাদেশ র‌্যাব-৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ‘কাচ্চি ভাই’-তে আগুন লাগেনি। বাড়িটির একদম নীচের তলায় একটি কফির দোকান রয়েছে। সেখানেই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement