OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

ঋণ খেলাপির জেরে শুভেন্দুর জেলায় বন্ধ ৪৭৭টি সমবায় সমিতি

শুধুমাত্র ১টি জেলাতেই মাত্র ৪ বছরের মধ্যে ঋণ খেলাপির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৪৭৭টি সমবায় সমিতি। সেই জেলাটি হল আবার পূর্ব মেদিনীপুর।
03:49 PM Dec 29, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধটা নয়। ৪৭৭টি। ঋণ খেলাপির জেরে শুধুমাত্র ১টি জেলাতেই এই বিশাল সংখ্যক সমবায় সমিতি(Co-Operative Society) বন্ধ হয়ে গিয়েছে গত কয়েক বছরে। তার মধ্যে অনেক কৃষি উন্নয়ন সমিতিও(Agricultural Development Society) রয়েছে। যে জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে সেটি হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur)। অর্থাৎ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) জেলা। মজার কথা এই সব সমবায় থেকে দেদার ঋণ নেওয়া হয়েছে ২০২০ সালের শেষ দিক অবধি। আর কোভিডের পর থেকেই এই সব সমবায় বন্ধ হতে শুরু করে দেয়। সমবায়গুলি বন্ধ হওয়ার নেপথ্যে উঠে এসেছে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে সেই টাকা ফেরত না দেওয়ার ঘটনা। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, অনেক ক্ষেত্রে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে ঋণ নেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। তারপর সেই ঋণ মেটানোর নামগন্ধ নেই। যাদের হাত ধরে সমবায় সমিতি বেড়ে ওঠার কথা, তাদের দুর্নীতিতেই ঝাঁপ পড়ছে সমবায়গুলির।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৪৭৭টি সমবায় সমিতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই সব সমবায় বন্ধ হওয়ার পিছনে ঋণ খেলাপির যে সব অভিযোগ উঠে আসছে, সেই সব ক্ষেত্রের কিছু জায়গায় FIR হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে জমি বক্রি করে টাকা ফেরানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঋণের টাকা আর সমবায়ে ফেরার অবস্থায় নেই। কেননা, দেখা যাচ্ছে যারা ঋণ নিয়েছিলেন তাঁদের একটা বড় অংশই সেই সময় তৃণমূল করতেন। পরে তাঁরা বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। সবটাই হয়েছে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরে করে। ঋণ ফেরানোর জন্য এইসব সমবায়ের তরফে ওইসব নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা পাত্তা দিচ্ছেন না। উল্টে, তাঁরা এখন সমবায়গুলির পিছনে CBI-ED লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। তাঁদের এই সব কীর্তি দেখে এখন অন্যরাও ঋণের কিস্তি মেটাতে চাইছে না। 

নন্দকুমার থানার কুমোরচক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে ৩কোটি ১৮লক্ষ টাকা তছরুপ হয়েছে। টানা ৪ বছর এই সমিতিতে কোনও অডিটই হয়নি। ওই সময়কালে সমবায়ে কার্যত পুকুরচুরির ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে ওই সমবায় সমিতিতে লেনদেন বন্ধ। অফিসও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের টাকা কার্যত খোয়া গিয়েছে। কবে সেই টাকা মিলবে, কীভাবে মিলবে, আদৌ মিলবে কিনা তার কোনও হদিশ নেই। অভিযোগ, সমবায়ের পরিচালন কমিটির পদাধিকারী কয়েকজন ওই টাকা নয়ছয় করেছেন। এনিয়ে থানায় FIR-ও হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, রাজ্যের এক প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা শাসকদলের এক প্রাক্তন হেভিওয়েট নেতার অনুগামীরাই এইসব ঘটনা ঘটিয়েছেন। ওই হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে পরে ওই সব অনুগামীরাও জার্সি বদল করেছেন, সেই সঙ্গে সমবায়ের ঝাঁপও বন্ধ করে দিয়েছেন।

চণ্ডীপুরের ব্রজলালচক মধ্য-পশ্চিম সমবায় সমিতিতেও আড়াই কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে। সমবায় পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে পোস্টার পড়েছিল। তারপর সমবায়ের অভিযুক্ত ম্যানেজার নগদ অর্থ এবং বেশ কিছু জমি সোসাইটির পক্ষে রেজিস্ট্রি করে দেন। কিন্তু, সমবায় সমিতির সম্পাদক কার্তিকচন্দ্র মল্লিকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই ওই সমবায় সমিতি ধুঁকছে। একই অবস্থায় চণ্ডীপুরের জাগরনী সমবায় সমিতির। বিপুল টাকা তছরুপ হয়েছে। প্রাক্তন ম্যানেজারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছে এআরসিএস অফিস। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তা না হলে এফআইআর করা হবে। ইতিমধ্যেই পুলিশি তদন্তে সামনে উঠে এসেছে যে, লোন নেওয়ার সময় একসময়কার জেলার সব প্রভাবশালী নেতারা সমবায়কে Soft Target করেছেন।  

পাঁশকুড়ায় ধনঞ্জয়পুর-গোবিন্দনগর সমবায় অফিস থেকে সস্ত্রীক এক নেতা ২৫ লক্ষ করে মোট ৫০লক্ষ টাকার ঋণ নিয়েছেন। তারপর ওই নেতা আর সমবায় মুখো হননি। পাঁশকুড়া এক নেতা পাতন্দা সমবায় সমিতি এবং ধনঞ্জয়পুর-গোবিন্দনগর সমবায় সমিতি থেকে মোটা অঙ্কের লোন নেওয়ার পর কিস্তি মেটাতেই ভুলে গিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ম্যানেজারকে ভয় দেখিয়ে এবং চাপ তৈরি করে লোন আদায় করা হচ্ছে। বহু সমবায়ের পরিচালন কমিটি নেই। ম্যানেজারের ওপর ভরসা করে চলছে সোসাইটি। সেই ম্যানেজারকে লাগাতার চাপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার লোন নেওয়া হচ্ছে। লোন মঞ্জুর হওয়ার পর শোধ করার বালাই নেই। এই কারণে অনেক সোসাইটি ধুঁকছে। এখন টাকা ফেরানোর কথা বললেই CBI-ED তদন্তের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

Tags :
Agricultural Development SocietyCBI-EDCo-Operative SocietyFIR.Purba MidnapurSuvendu Adhikari
Next Article