OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

নন্দীগ্রামে তৃণমূল করার অপরাধে চাকরি গেল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ কর্মীর

নন্দীগ্রামের বুকে তৃণমূল করার অপরাধে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিজেপি শাসিত ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে অস্থায়ী ৫জন কর্মীর চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
04:02 PM Nov 07, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) মানুষ সচেতন হন। বাংলার মানুষ একটু জেগে উঠুন। চোখ মেলে দেখুন বিজেপির শাসন কাকে বলে। তার জন্য আপনাদের যোগীরাজ্য বা মধ্যপ্রদেশের দিকে তাকাতে হবে না। বাংলার বুকেই একটু তাকিয়ে দেখুন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) জেলা পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur), তথা তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের(Nandigram) বুকে তৃণমূল(TMC) করার অপরাধে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের বিজেপি শাসিত ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত(Vekutia GP) থেকে অস্থায়ী ৫জন কর্মীর চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কার্যত তৃণমূল করার অপরাধে ওই ৫জনকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দল হিসাবে থাকার সময় থেকেই যদি বিজেপির এই আচরণ হয় তাহলে বাংলার মসনদে তাঁরা এলে বাংলার কী হাল হবে! সেটা একটু ভাবুন বাংলার জনগন। যারা উদ্দাম হয়ে বিজেপি বিজেপি করে নাচছেন, তাঁরা হয়তো খুশিই হবেন ৫জন তৃণমূল কর্মীর কাজ চলে যাওয়ায়। কিন্তু সচেতন যারা আছেন তাঁরা এবার দেখে নিন বিজেপি(BJP) কারে কয়।

চলতি বছরে হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। এরপর সোমবার রেজ্যুলিউশন এনে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মরত ৫জন অস্থায়ী কর্মীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁদের একমাত্র অপরাধ তাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন করেন। যদিও সেই কারণকে সরকারি ভাবে বিজ্ঞপ্তিতে তুলে ধরা হয়নি। বরঞ্চ সেখানে তুলে ধরা হয়েছে পঞ্চায়েতের আর্থিক সঙ্কটকে। তাই সেটা যে অজুহাত মাত্র সেটাও বোঝা যাচ্ছে। যে ৫জনের চাকরি বিজেপি কেড়ে নিয়েছে এরা হলেন বলাই জানা, সত্য দাস, অনিমা মণ্ডল, সাথী মণ্ডল এবং রবিন বাগ। এরা সকলেই ওই পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী। এদের মধ্যে বলাই জানা আবার ২০০৯ সাল থেকে ওই পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে জেরক্স করা, জেনারেটর চালানো এবং সাফাইয়ের কাজ করেন। বাকি ৪জন ২০১৮সাল থেকে কাজ করছেন। তাঁরা সকলে এলাকায় তৃণমূল সমর্থক হিসেবে পরিচিত। অভিযোগ, সেই কারণেই তাঁদের কাজ থেকে ছাঁটাই করতে মরিয়া হয়ে ওঠে বিজেপির পঞ্চায়েত।

ঘটনার জেরে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ জানিয়েছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি অনৈতিক। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ৫জনকে বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে তাঁরা রাজি না হওয়াতে গত ৩১অক্টোবর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় ৫জনের চাকরি কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। যদিও সেই সভায় তৃণমূলের সদস্যরা ছাঁটাই ইস্যুতে প্রবল আপত্তি করেন। তার জেরে ওই সভায় ছাঁটাই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। তারপর গতকাল ফের পঞ্চায়েতে সভা হয়। সেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের আপত্তি খারিজ করে ওই ৫জন অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়। আর্থিক সঙ্কটের অজুহাতে ৫জনকে ছাঁটাইয়ের জন্য রেজ্যুলিউশন নেওয়া হয়েছে। অথচ, বিজেপি ওই পঞ্চায়েত দখল করার পর নতুন নিয়োগ সেরে ফেলেছে। সুন্দরী জানা নামে একজনকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সূত্রেই এখন পাল্টা প্রশ্ন উঠেছে, আর্থিক সঙ্কটের কারণে অস্থায়ী কর্মীদের ছাঁটাই করা হলে নতুন নিয়োগ হচ্ছে কোন অঙ্কে? তৃণমূলের তরফে গোতা ঘটনাটি নিয়ে আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Tags :
bengalBJPNandigramPurba MidnapurSuvendu AdhikariTmcVekutia GP
Next Article