হাওড়ার সলপে সেতুর নীচে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, আটক ৩ লরিচালক
নিজস্ব প্রতিনিধি: গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে(Old Woman) সেতুর নীচে থাকা রাস্তার ধারের জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের(Rape) অভিযোগ উঠল হাওড়ার(Howrah) সলপে(Salap)। তবে বৃদ্ধা চিনতে পারেননি কে তাঁর ওপর এই অত্যাচার চালিয়েছে। তিনি অন্ধকারে ওই যুবককে চিনতে পারেননি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই বৃদ্ধা এখন হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের ধারনা অভিযুক্ত কোনও লরির চালক বা খালাসি। তবে জানা গিয়েছে, পুলিশ ধর্ষণের মামলা রুজু করেনি। করেছে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা। ডোমজুড় থানায় সেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে ৩জন চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। কেননা তাঁদের ধারনা, ঘটনাস্থলের কাছেই লরি পার্কিং জোন রয়েছে তাই এই ঘটনার পেছনে লরির চালকদের হাত থাকতে পারে। তবে ঘটনার পরে নির্যাতিতার মহিলার পরিবারের দাবি, পুলিশ ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করছে না। গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ২-৩জন মিলে অত্যাচার করেছে অথচ পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ডোমজুড়ে থানা(Domjur PS) এলাকায় গরু চড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বছর পঁয়ষট্টির বৃদ্ধা ও তাঁর ছেলে। কিছুটা দূরেই একটি জলসার অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেখানে মা ও ছেলে খানিক্ষণ অনুষ্ঠান দেখছিলেন। এরপর রেললাইন ধরে ছেলে কিছুটা এগিয়ে যান। এবং বাড়ি পৌঁছন। খানিক্ষণ পর বৃদ্ধার ছেলে দেখতে পান তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মাথা ঘুরে পড়ে যান বাড়ির সামনে। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানতে পারেন বৃদ্ধার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে। নির্যাতিতার পুত্রবধূর দাবি, ‘মা গরু আনতে গিয়েছিল। সঙ্গে দেওর ছিল। মা বয়স্ক মানুষ ধীরে হাঁটছিল। আর দেওর চলে গেছে এগিয়ে। সেই সময় এই ঘটনা। মা তো বলছে দু-তিনজন ছিল।’ জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার ছেলে শর্টকাট রাস্তা ধরে আগে বাড়ি চলে এলেও তাঁর মা পিছনে থেকে যান। বৃদ্ধার ছেলে খেয়াল করেননি যে তাঁর মা পিছনেই রয়ে গিয়েছেন, বাড়ির দিকে আসেননি। ভেবেছিলেন, মা পরে বাড়ি চলে আসবেন। বেশি রাতে তাঁর মা বাড়ি ফিরে জানান, এক যুবক তাঁকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে।
পুলিশের দাবি, নির্যাতিতা নিজেই ভাল করে বলতে পারছেন না যে তাঁর ওপর ঠিক কী অত্যাচার করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের চেষ্টার কথা বলা হয়েছে, ধর্ষণের কথা বলা হয়নি। তাই ধর্ষণের চেষ্টার মামলাই দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার পুত্রবধূর দাবি, ২-৩জন ছিল বলে নাকি বৃদ্ধা বাড়িতে জানিয়েছেন। হাওড়া হাসপাতাল থেকে প্রথমে হাওড়া থানায় এবং পরে হাওড়া থানা থেকে ডোমজুড় থানায় খবর আসে। এদিন ঘটনার তদন্তে নেমে ডোমজুড় থানার পুলিশ বৃদ্ধার ছেলেকে নিয়ে এসে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে। যে যায়গায় ঘটনায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে বহুদিন থেকেই বাইরের প্রচুর লরি পার্কিং করে থাকে। তাই ৩জন চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে কারা কারা এই ঘটনায় জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।