ইজরায়েলি হামলায় খান ইউনিসে নিহত অন্তত ৭ ফিলিস্তিনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজার খান ইউনিসের নাস শহরের হাসপাতালের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ইজরায়েলি হামলায় নিহত ৭ ফিলিস্তিনি। এর কিছুদিন আগেই ইজরায়েল আনুমানিক ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষকে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত শহরের পূর্ব অংশ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ইজরায়েল অধিকৃত গাজায় মানবিক সহায়তা যাতে বাড়ে সেই নিয়ে বার্তাও দিয়েছেন জাতিসংঘ অফিসের প্রধান আন্দ্রেয়া ডি ডোমেনিকো। তিনি জানিয়েছেন, ‘গাজায় কোথাও এবং কেউ নিরাপদ নয়’, এটি এমন একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে যেখানে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। অন্যদিকে যেখানে আছে সেই স্থান ছেড়েও যেতে পারে না। অর্থাৎ গাজাবাসীর পরিস্থিতি এখন খুব ভয়ানক।’
ইজরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছে লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী,গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের আল কারারা, বানি সুহাইলা ও অন্যান্য এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ইজরায়েলি আদেশের ভুক্তভোগী ২ লক্ষ ৫০ হাজারের মতো মানুষ। গাজায় মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ১৯ লক্ষ পৌঁছেছে। খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতাল থেকে শত শত অসুস্থ ও আহত মানুষ পালিয়ে গিয়েছে।এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন জানিয়েছেন, ইজরায়েলি আক্রমণের হাত থেকে হাসপাতালটি যেন রক্ষা পায়, সেই অনুরোধই জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, টানা আট মাস পার হতে চলল। এখনও গাজায় হামলা বন্ধ করে নি ইজরায়েল। ইজরায়েলি হামলায় শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পঙ্গুত্বের সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু একটা অথবা দুটো পা হারিয়ে পঙ্গু হচ্ছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৩৭,৯২৫ জন নিহত এবং ৮৭,১৪১ জন আহত হয়েছে যাঁদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।