হকার উচ্ছেদ ঠেকাতে মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যজুড়ে হকার উচ্ছেদে(Eviction of the Hawkers) তৎপর পুলিশ। কলকাতা(Kolkata) সহ শহরতলি এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলছে সেই হকার উচ্ছেদ অভিযান। এবার সেই প্রক্রিয়া রুখতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা। মামলাকারীদের দাবি, গত দুদিন ধরে কলকাতা শহর ও আশপাশে হকার উচ্ছেদের নামে যেভাবে পুলিশ(Police) অত্যাচার করছে। তা রুখতেই মামলা। আইনজীবীর দাবি, দখলদার উচ্ছেদে আইনি পদ্ধতি মানা হচ্ছে না। নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। পুলিশের এই বর্বরতা বন্ধ হোক। অভিযোগ, গত দুদিন ধরে পুলিশ সর্বত্র যেভাবে হকারদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে, মারধর করছে, তাতে কে বৈধ আর কে নয়, সেসব দেখা হচ্ছে না। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বক্তব্য, এটা কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গার ঘটনা নয়। তাই এটা জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দাখিল করা উচিত। মামলা করতে হলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করুন।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের পর্ব মিটতেই সোমবার নবান্নে(Nabanna) বৈঠকে ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেখানে জমি জবরদখল, হকার সমস্যা নিয়ে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন তিনি। আমলা, পুলিশ কেউ রেহাই পাননি। এর পরই হকার উচ্ছেদে নামে পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এদিন নবান্নের সভাঘরে এনিয়ে ফের বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে পুরো বিষয়টির জল গড়িয়েছে আদালতে। এদিন দুপুর ১২টায় নবান্নে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের পুলিশ কর্তা ও আধিকারিকেরা। ভিডিও কনফারেন্স মারফত রাজ্যের সব থানার আধিকারিকেরা বৈঠকে যোগ দেবেন। একই সঙ্গে বৈঠকে সশরীরে হাজির থাকবেন রাজ্যের সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যানরা এবং পুরনিগমের মেয়ররা।
তবে এদিনের বৈঠকে জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং বিডিওরাও যারা সশরীরে যোগ দিতে পারবেন না, তাঁরা ভারচুয়ালি যোগ দেবেন বৈঠক। জেলা পুলিশ সুপার এবং কমিশনারদের ভারচুয়ালি যোগ দিতে হবে বৈঠকে। তবে হাওড়ার জেলাশাসক, চেয়ারপার্সনকে সশরীরের বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে কলকাতা, হাওড়া এবং বিধাননগর কমিশনারেটের আইসি এবং ওসিদের সশরীরের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তবে তাহেরপুর এবং ঝালদা পুরসভার কাউকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।