For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

বাড়িতে একাই থাকতেন নিঃসন্তান বধূ, হয়ে গেলেন খুন

মেমারিতে কী উদ্দেশ্যে প্রতিমাকে খুন করা হল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কে বা কারা এই খুনের ঘটনা ঘটাল, তা এখনও অজানা।
12:04 PM Jun 30, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
বাড়িতে একাই থাকতেন নিঃসন্তান বধূ  হয়ে গেলেন খুন
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: শনি রাতে বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক বধূর দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdwan) জেলার মেমারিতে(Memari)। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই বধূকে কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম প্রতিমা চক্রবর্তী (৩৮)। তিনি মেমারির সুলতানপুরের বাসিন্দা। স্বামী হৃদয় চক্রবর্তী রাঁধুনির কাজ করেন। সেই সূত্রে বাইরেই থাকেন। বাড়িতে একাই থাকতেন নিঃসন্তান প্রতিমা। কী উদ্দেশ্যে প্রতিমাকে খুন(Housewife Murdered) করা হল, তা-ও খতিয়ে দেখছে মেমারি থানার পুলিশ(Police)। কে বা কারা এই খুনের ঘটনা ঘটাল, তা এখনও অজানা।

Advertisement

জানা যাচ্ছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ মেমারির চকদিঘিমোড় এলাকায় বোনের দোকানে যান প্রতিমা। তার পর বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর বোন বুলবুল মজুমদার বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না পেয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে দেখেন প্রতিমা ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘরের মেঝে। দিদিকে ওই অবস্থায় দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই ময়নাতদন্ত হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে প্রতিমাকে। তবে প্রতিবেশী এবং প্রতিমার পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে তাঁর স্বামীকেও।  

Advertisement

প্রতিমার বোন বুলবুল মজুমদার জানিয়েছেন, ‘দোকান বন্ধ করে দিদির বাড়িতে ঢুকে দেখি, দিদি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জামাইবাবু রান্নার কাজ করেন। তাই প্রায়ই বাইরে বাইরেই থাকেন। শনিবার সকালে রান্নার কাজে দিঘা গিয়েছেন।’ প্রতিমার সঙ্গে কি কারও ঝামেলা ছিল? যদিও প্রতিমার আর এক বোন সজনী চৌধুরী তা মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘দিদি অত্যন্ত ভাল মানুষ ছিল। ওর সঙ্গে কারও কখনও ঝামেলা হত না।’ আর এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটালো সেটাই এখন খুঁজে দেখছে পুলিশ।

Advertisement
Tags :
Advertisement