ছুটির দিনেই ঈদ, ইতালিতে কোরবানি দেবেন রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি
নিজস্ব প্রতিনিধি: এ বার ছুটির দিনেই পড়েছে কোরবানি ঈদ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব এটি। আগামী ১৭ জুন গোটা বিশ্বজুড়ে পালিত হবে কোরবানি ঈদ। গোটা বিশ্ব সেজে উঠবে কোরবানি ঈদের মেজাজে। ইতালি-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পবিত্র ঈদুল আজাহ পালিত হবে আগামী রবিবার (১৬ জুন)। তার মধ্যেই শোনা যাচ্ছে, ইতালিতে এবার রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি পশু কোরবানি দিতে চলেছে। বিশেষ করে, যেহেতু রবিবার ছুটির দিনেই কোরবানি ঈদের প্রাক-পর্ব শুরু হচ্ছে, তাই সেদিনই রেকর্ড সংখ্যক পশু কোরবানি দেবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন খামারে পশুর সংখ্যা কমছে। ঈদুল আজহা উদযাপনে ইতিমধ্যেই প্রবাসীদের মধ্যে ভিন্ন আমেজ তৈরি হয়েছে। এদিকে, কোরবানির ঈদ হলেও অন্যান্য বছরের মতো ইতালিতে তৈরি পোশাকের দোকানে প্রবাসীদের ভিড় বেড়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশির জন্য ইতালির বিভিন্ন শহরে গড়ে উঠেছে তৈরি পোশাকের দোকান। এদিকে সূত্রের খবর, বাংলাদেশিসহ মোট ২৭ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান দেশটিতে ঈদ উদযাপন করবে।
পশু কোরবানির উৎসবের পাশাপাশি এটি মুসলিমদের পারিবারিক পুনর্মিলন উৎসবও বটে। ইতালির পাশাপাশি বাংলাদেশেও উৎসবের মেজাজ তৈরি হয়েছে। নিজ শহরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাস, ট্রেনেও ভিড় জমছে। ঢাকায়, ঈদের ছুটির আগে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন কাজের সময় শেষ হওয়ার পরে, দূরপাল্লার বাস স্টেশন, ফেরি টার্মিনাল এবং ট্রেন স্টেশনগুলিতে লক্ষ লক্ষ বাড়িগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ফেরি, ট্রেন এবং বাস টার্মিনালে যাত্রীরা ভিড় জমিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তারা তাঁদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা এবং ব্যবসায়িক লেনদেন শেষ করেছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে পশু বেচাকেনাও। খামারগুলোতে গিয়ে নিজেদের পছন্দমতো গরু-ছাগল-ভেড়া কিনছেন মুসলিমরা।
বাংলাদেশী মুসলমানরা ১৭ জুন ঈদুল আযহা উদযাপন করবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশের অন্যতম প্রধান উৎসব হিসেবে চিহ্নিত হবে। পবিত্র হজের পর চন্দ্র ইসলামি ক্যালেন্ডার মাসের ১০ তম দিনে এই উত্সব পালিত হয়। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ১৬-১৮ জুন ঈদের তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। ঢাকার ২০ মিলিয়ন বাসিন্দার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সাধারণত ঈদ-উল-ফিতর, রমজানের মুসলিম রোজার মাসের শেষ এবং ঈদুল আজহাতের জন্যে বছরে দুবার রাজধানী ছেড়ে যায়। প্রত্যেক মুসলমান যাদের আর্থিক সচ্ছলতা আছে তারা পশু কোরবানি করে এবং মাংস পরিবারের সদস্য ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করে।
এই বছর, বাংলাদেশে ১০.৭ মিলিয়ন পশু কোরবানি করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রহমান।