OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

অভিষেকের হাত ধরে যাত্রা শুরু তৃণমূলের তপশিলির সংলাপ

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হয়ে গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি তপশিলির সংলাপ।
12:52 PM Mar 12, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের মুখে শুরু হয়ে গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) নয়া জনসংযোগ কর্মসূচি তপশিলির সংলাপ(Tapashilir Sanglap)। এদিন অর্থাৎ ১২ মার্চ কলকাতার(Kolkata) নজরুল মঞ্চে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) হাত ধরে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির নামে ফেসবুকে একটি পেজও খোলা হয়েছে। তাতে লেখা আছে, ‘তপশিলির সংলাপ হল একটি তৃণমূলে প্রচার কর্মসূচি, যার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের তপশিলি জাতির কাছে পৌঁছানো এবং বিজেপির দলিত-বিরোধী মতাদর্শ ও নীতির বিপদ সম্পর্কে তাদের সচেতন করা।’ জানা গিয়েছে, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভা অঞ্চল থেকে ১৫ জন করে দলের তপশিলি ও জনজাতির কর্মীদের নাম পাঠাতে। সেই তালিকা ধরে ধরে এদিন তপশিলি ও জনজাতি কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে নজরুল মঞ্চে। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করছেন অভিষেক।

ব্রিগেডের মেগা সমাবেশ থেকে লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। হাইভোল্টেজ ভোটযুদ্ধে লড়াইয়ের সৈনিক নির্বাচনও হয়ে গিয়েছে। স্ট্র্যাটেজিও মোটের উপর তৈরিই। এবার তৃণমূলের নজরে তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্তদের ভোট। তাঁদের মন জয় করতে ঠিক কী কৌশল নেওয়া হবে, তা ঠিক করতেই এদিন বৈঠকে বসেছেন অভিষেক। ২৪'র ভোট যুদ্ধের জন্য তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন তফশিলি জাতিভুক্ত ১০ জন। তাঁরা হলেন কোচবিহারের জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, জলপাইগুড়ির নির্মলচন্দ্র রায়, রানাঘাটের মুকুটমণি অধিকারী, জয়নগগরের প্রতিমা মণ্ডল, মথুরাপুরের বাপি হালদার, আরামবাগের মিতালী বাগ, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের সুজাতা মণ্ডল, বর্ধমান পূর্বের ডঃ শর্মিলা সরকার, বোলপুরের অসিত কুমার মাল এবং বনগাঁর বিশ্বজিৎ দাস। তফশিলি উপজাতিভুক্ত ৩ জন হলেন আলিপুরদুয়ারের প্রকাশচিক বরাইক, দার্জিলিংয়ের গোপাল লামা এবং ঝাড়গ্রামের কালীপদ সোরেন। সদ্য টিকিট পাওয়া কাঁথির উত্তম বারিক এবং পুরুলিয়ার শান্তিরাম মাহাতো অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত।

এদিনের বৈঠকে ওই সব প্রার্থীদের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের প্রার্থীরা হাজির রয়েছেন। উত্তরবঙ্গের তফশিলি জাতি, উপজাতিভুক্তরা এদিনের বৈঠকে থাকছেন না। আগামি পরশু অর্থাৎ ১৪ মার্চ জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একটি বৈঠক করবেন তিনি। ওই বৈঠকেই থাকবেন উত্তরবঙ্গের তফশিলি প্রার্থীরা। তবে এদিনের বৈঠকে প্রতি ব্লক থেকে কমপক্ষে ১৫ জন করে তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এই ১৫জনের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘যেখানে যেখানে তৃণমূলের বিধায়ক নেই, সেখানে ব্লক সভাপতিরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আপনাদের বিধানসভার ১০জন তফসিলি জাতি ও ৫জন তফসিলি উপজাতিভুক্তদের নাম পাঠাবেন। এমন নাম পাঠাবেন যাঁদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের সমর্থক। এই ১৫ জনকে আমরা কাজে লাগাব। যেভাবে বছরের পর বছর বিজেপি তফশিলি জাতি, উপজাতি শ্রেণিভুক্তদের পর অত্যাচার করছে সেকথা আমরা তুলে ধরব। এমন নাম পাঠাবেন না যে আপনার কাছের লোক তাই পাঠিয়ে দিলেন। আমরা খতিয়ে দেখব। বাংলায় যে কটি বুথ রয়েছে সেই প্রতিটা বুথ থেকে চারটি করে নাম ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলের কাছে পাঠাবেন।‌ মাদার সংগঠন থেকে দুজন, একজন মহিলা সংগঠন ও একজন যুব সংগঠনের (যাঁর বয়স ৪০ বছরের কম)। এই সেনাদের আমরা কাজে লাগাব।’

তৃণমূলের এই নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি রাজ্যের তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের কাছে পৌঁছনোর টার্গেট নিয়েই শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যের তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষদের কাছে তাদের এলাকায় নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডেড গাড়িতে চেপে যাবেন ওই সম্প্রদায়ের নেতারাই। সেখানে গিয়ে ওই সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষদের সঙ্গে আলাপ করবেন তাঁরা। সারা দেশে তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির সরকারের অন্যায়ের তথ্য তুলে ধরবেন তাঁরা। বাংলায় সেই অন্যায় থেকে কীভাবে তৃণমূল সরকার তাদের রক্ষা করছে সেটাও তুলে ধরবেন দলের তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের নেতারা। কর্মসূচিতে বলা হয়েছে প্রত্যেক তফশিলি এলাকায় নেতৃবৃন্দ অন্তত ৩-৫টি হটস্পটে আলোচনামূলক সভার আয়োজন করবেন। এই বৃহৎ কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডেডের ১৫০টি প্রচার গাড়ি। প্রায় ৬ হাজারের বেশি এলাকা পরিদর্শন করবেন তৃণমূলের ৩৫০০ তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের নেতারা। ১.৫ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছনো লক্ষ্য রয়েছে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে কর্মসূচিটি।

Tags :
Abhishek BanerjeeKolkataMamata BanerjeeTapashilir SanglapTmc
Next Article