For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

রাজ্যসভায় অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির টিকিট Confirmed, কোনঠাসা প্রদেশ কংগ্রেস

প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা নিজেরাও ভাবতে পারেননি, মমতা আর তৃণমূল বিরোধিতার মাশুল তাঁদের এভাবে গুণতে হবে। আপাতত কোনঠাসা দশা তাঁদের।
11:07 AM Dec 12, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
রাজ্যসভায় অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির টিকিট confirmed  কোনঠাসা প্রদেশ কংগ্রেস
Courtesy - Google and Facebook
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: তাঁরা চেয়েছিলেন ১২টি আসন। কিন্তু দিদি ছাড়ছেন মাত্র ২টি। তাঁদের কল্পনাতেও ছিল না, দলের কোনও নেতা বাংলা থেকে ফের রাজ্যসভায় যাবেন। কিন্তু সেটা নিশ্চিত করলেন সেই দিদি। সমঝোতার সমীকরণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মাস্টারস্ট্রোকে কার্যত কোনঠাসা দশা বাংলার(Bengal) মাটিতে প্রদেশ কংগ্রেসের(WBPC)। সেই প্রদেশ কংগ্রেস যা ভেঙে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) জন্মই হয়েছে তাই নয়, এই শিবিরটিকে মমতা ও তৃণমূল একাধিকবার সিপিএমের B Team বলেও চিহ্নিত করেছেন। আবার এই শিবিরের অন্ধ মমতা বিরোধিতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে আক্রমণ শানতেও দেখা গিয়েছে একাধিকবার। কিন্তু সম্ভবত তাঁরা নিজেরাও ভাবতে পারেননি, মমতা আর তৃণমূল বিরোধিতার মাশুল তাঁদের এভাবে গুণতে হবে।

Advertisement

বিজেপি(BJP) বিরোধিতায় দেশে তৈরি হয়েছে মহাজোট INDIA। সেই জোটে কার্যত নেতৃত্বের পর্যায়ে রয়েছে সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, মল্লিকার্জুন খাড়্গের কংগ্রেস(INC)। জোটে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলও। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি ছিল, ২৪’র ভোটে(General Election 2024) বাংলার বুকে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোট তখনই হবে যখন তাঁরা কংগ্রেসকে ১২টি লোকসভা আসন ছাড়বে। যদিও এই হাস্যকর যুক্তিকে পাত্তা দেয়নি তৃণমূল। কেননা যাদের রাজ্য বিধানসভায় ১জন বিধায়কও নেই, কার্যত কোনও অস্তিত্বও নেই, তাঁরা ১২টি লোকসভা আসনে কী লড়াই করবে? কার্যত বাংলার মাটিতে কংগ্রেসের এখন বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে বা একক ভাবে লড়াই করেও ১টিও আসন বের করার ক্ষমতা নেই। তা সে লোকসভা হোক কী বিধানসভা। সাগরদিঘির ফলাফল যে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ঘটনা সেটা ধূপগুড়ি প্রমাণ করে দিয়েছে। তারপরেও বিজেপিকে হারাতে মমতা শুধু যে INDIA জোট গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন তাই নয়, জোটের স্বার্থে এবং কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে সম্মান দিয়ে উনিশে বাংলার মাটিতে কংগ্রেসের জেতা ২টি লোকসভা কেন্দ্রও ছেড়ে দিতে রাজী হয়েছেন। কিন্তু ওই অবধিই। তার বেশি এক ইঞ্চি জমিও তিনি বাংলায় কংগ্রেসকে ছাড়ছেন না।

Advertisement

তবে মমতার এই সিদ্ধান্তে যে কংগ্রেস লাভবান হচ্ছে না এমন নয়। কেননা উনিশের ভোটে জেতা বহরমপুর ও মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র এবারে আর কংগ্রেস বার করার মতো অবস্থায় ছিল না। কেননা এই দুটি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে কোনও বিধানসভা কেন্দ্রেই কংগ্রেসের আর কোনও বিধায়ক নেই। তৃণমূল ওই দুই আসনে প্রার্থী দিলে কংগ্রেসের হার নিশ্চিত। কার্যত সেই হিসাবে দুটি আসনই বাতিলের খাতায়। এখন মমতা এই দুটি আসন ছাড়তে রাজী হওয়ায় অন্তত ২টি লোকসভা কেন্দ্র কংগ্রেসের পক্ষে নিশ্চিত হয়েছে। এখানেই কংগ্রেসের লাভ। এর পাশাপাশি আরও একটি আসন নিশ্চিত হচ্ছে রাজ্যসভাতেও। বাংলার বিধানসভায় এখন কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক নেই। তাই সরাসরি তাঁরা কাউকে বাংলার বিধানসভা থেকে জিতিয়ে রাজ্যসভায় পাঠাতেও পারবেন না।

এদিকে সামনের বছরের এপ্রিল মাসে বাংলার ভাগে থাকা রাজ্যসভার ৫টি আসন ফাঁকা হচ্ছে। পঞ্চম আসনটিতে ৬ বছর আগে ২০১৮ সালে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সমর্থনে রাজ্যসভায় যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তার মেয়াদ শেষ হলে সেই আসনে রাজ্যসভায় কাউকে পাঠানো কংগ্রেসের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু মমতা আবারও সেই আসন সিঙ্ঘভিকেই ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ এই আসনটিও নিশ্চিত ভাবেই কংগ্রেসের ঝুলিতে যাচ্ছে। সব  মিলিয়ে সংসদে কংগ্রেসের পক্ষে ৩টি আসন নিশ্চিত হল। পরিবর্তে ২৪’র ভোটে বাংলার আর ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। আর এখানেই মাথায় হাত প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের।

সিঙ্ঘভিকে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের বিস্তর আপত্তি রয়েছে। কেননা, সুপ্রিম কোর্টে তৃণমূল ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে নিয়মিত সওয়াল করেন কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতা। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলাতেও সওয়াল করেছিলেন কংগ্রেসের অভিষেক। কিন্তু তিনি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ হলেও, এ রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনকে সময় দেওয়া তো দূরের কথা, ন্যূনতম কাজেও তাঁকে পাওয়া যায় না। বরং পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তেই বেশি আগ্রহী তিনি। এই পরিস্থিতিতে সিঙ্ঘভিকে সমর্থন দেওয়াটা অপ্রত্যাশিত নয় তৃণমূলের পক্ষে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের সেটা মেনে নেওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু উপায়ও নেই হাত-পা বেঁধে দিয়েছে দলের হাইকম্যান্ড। ফন্দি ছিল বামেদের সঙ্গে জোট ঘোঁট করে ২৪’র যুদ্ধে বিজেপিকে বাংলার মাটিতে ফায়দা করে দেওয়া। সেই গুড়েও বালি। অগ্যতা কোনঠাসা কলকাতার বিধান ভবন।

Advertisement
Tags :
Advertisement