For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

CAA মেনে নেবেন তিনি, কিন্তু শর্ত বেঁধে দিলেন বিজেপিকে, নজরে অভিষেক

CAA মেনে নেওয়া নিয়ে বিজেপিকে শর্ত বেঁধে দিলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
05:33 PM Apr 21, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
caa মেনে নেবেন তিনি  কিন্তু শর্ত বেঁধে দিলেন বিজেপিকে  নজরে অভিষেক
Courtesy - Twitter
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে মতুয়া(Matua) অধ্যুষিত যে ২টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল নদিয়া জেলার(Nadia District) রানাঘাট। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই আসনেই জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। তিনি জিতেছিলেন ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে। বিজেপি(BJP) এবারেও তাঁকে সেখানেই প্রার্থী করেছে। একুশের ভোটেও রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের(Ranaghat Constituency) মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে খালি নবদ্বীপ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। বাকি ৬টিই গিয়েছিল বিজেপির দখলে। এর নেপথ্যে কাজ করেছিল সেই মতুয়া ভোটের অঙ্ক। এই মতুয়া সমাজই বার বার দশকের পর দশক ধরে নাগরিকত্বের দাবি জানিয়ে আসছিল। বিজেপির তরপঘে সেই দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েই তাঁদের ভোট নেওয়া হয়। এখন ২৪’র ভোটের(Loksabha Election 2024) মুখে সেই নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার CAA করলেও সেখানে মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা নেই। এদিন রানাঘাটের দত্তপুলিয়ায় সভা করতে গিয়ে সেই CAA মেনে নেওয়া নিয়ে বিজেপিকে শর্ত বেঁধে দিলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)।

Advertisement

একুশের ভোটে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টির মধ্যে ৬টিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এর মধ্যে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। এই মুকুটের সঙ্গে আবার জগন্নাথের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। এবারে সেই জগন্নাথকে ফের বিজেপি রানাঘাটে প্রার্থী করায় মুকুট দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। জোড়াফুল শিবির তাই এবার তাঁকেই রানাঘাটে প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরেছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের এই তরুণ চিকিৎসক ইতিমধ্যেই বিজেপি আর জগন্নাথের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন। এদিন তাঁর সমর্থনেই অভিষেক যান দত্তপুলিয়াতে সভা করতে। আর সেই সভা থেকেই তিনি বিজেপিকে শর্ত দেন CAA মেনে নেওয়া নিয়ে। এর অন্যতম কারণ কেন্দ্র সরকার যে CAA চালু করেসে সেখানে কোথাও মতুয়াদের নিঃশর্ত মাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা নেই। অথচ সেই নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতেই মতুয়ারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কার্যত বিজেপি এবারেও মতুয়াদের মাথায় হাত বুলিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ভোট নিয়ে নিতে চায় নিজেরা জেতার জন্য। এদিকে কেন্দ্রের লাগু করা CAA’র জন্য আবেদন করলেই সবার আগে আবেদনকারীকে বিদেশী বলে দেগে দেওয়া হবে। সেই ভয়ে কোনও মতুয়া এখনও পর্যন্ত এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাননি। আর তাই এই আইন এখন বিজেপির কাছেই গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে।

Advertisement

পরিস্থিতি এমনই যে, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় হাজাজ প্রতিমন্ত্রী এবং মতুয়া সমাজের প্রাণকেন্দ্র ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়ির বড় ছেলে শান্তনু ঠাকুরের নির্বাচনী প্রচারপত্রে CAA’র কোনও উল্লেখই করা হয়নি। কার্যত সেখানে উধাও মতুয়াদের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ। ফলে, CAA যে আসলে বিজেপির নির্বাচনী খুড়োর কল, তা বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন মতুয়াদের একটা বড় অংশ। আই আবহেই এদিন অভিষেক CAA নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি তথা কেন্দ্রের সরকারকে। তিনি এদিন বলেন, ‘কোনও নেতা আপনার সামনে বলবে না, যাকে খুশি ভোট দিন, শুধু তৃণমূল বলবে। ১৩ তারিখ যাবে ইচ্ছা ভোট দেবেন, শুধু নিজের অধিকার ও ৫ বছর যারা পাশে ছিল, তাদের কথা ভেবে দেবেন। অসমে NRC করে ১২ লাখ হিন্দু বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়েছে বিজেপি। ফর্ম ফিল-আপের পর যদি ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্র সরকার মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেয়, আর যদি নোটিফিকেশন করে বলে CAA-র পর NRC হবে না, তাহলে আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি আমি CAA-কে সমর্থন করবে। মনে রাখবেন, CAA হল মাছের ল্যাজা আর মাথাটা হল NRC। ওরা ল্যাজা দিয়ে শুরু করেছে। জিতে এসে মাথাটা টানবে।’

Advertisement
Tags :
Advertisement