১৪ পুরকর্মীর বেতন চালু করতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের
নিজস্ব প্রতিনিধি: এবারের লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) কার্যত ইন্দ্রপতন ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার(Murshidabad District) বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী তথা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হয়েছেন দেশের প্রাক্তন রেল প্রতিমন্ত্রী এবং ৫ দফার সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী(Adhir Ranjan Chowdhury)। সেই নির্বাচনের পরে পরেই বহরমপুর পুরসভার(Baharampur Municipality) ১৪জন কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এরা অধীরের হয়ে ভোটে কাজ করেছেন বলেই এদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই ১৪জন পুরকর্মীর বেতন ফের চালু করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) চিঠি দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যদিও এই ঘটনায় যে বিতর্কের জন্ম হয়েছে তার জেরে বহরমপুর পুরসভার পুরপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা সার্ভিস রুল মেনেই ১৪জনের বেতন স্থগিত করেছি। যদি কারও মনে হয় অন্যায় হচ্ছে, তাঁরা আদালতের দারস্থ হতে পারেন। আমরা আমাদের মতো আদালতে উত্তর দেব। যাদের বেতন স্থগিত করা হয়েছে তাঁদের অধিকাংশ তৃণমূল করেন। ফলে, দল দেখে নয়, কাজের পারফরম্যান্স দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ভোটে হেরে গিয়ে অধীরবাবু এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।’
অধীরের দাবি, লোকসভা নির্বাচনে এই পুরকর্মীরা তাঁর সমর্থনে কাজ করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘এ ভাবে সাধারণ পুরকর্মীদের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষ। ওই সব কর্মচারী খুব গরিব। ওরা যাতে দ্রুত বেতন পান সে বিষয়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি।’ যদিও তৃণমূল(TMC) পরিচালিত বহরমপুর পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, এই সব পুরকর্মচারী ঠিক মতো কাজ করছিলেন না, তাঁদের কাজের পারফরম্যান্স ভাল নয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আর শুধু যে ওই ১৪জনের বেতন বন্ধ হয়েছে তা কিন্তু নয়। অনিয়মের অভিযোগে বহরমপুর পুরসভার মোট ৫৩ জন কর্মীর বেতন স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে যাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা এখন খুবই সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। তাঁরা দ্রুত বেতন দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা নিয়ম মেনেই পুরসভায় কাজ করেন। এ ভাবে বেতন বন্ধ করে দেওয়ায় সংসার চালাতে গিয়ে চরম সমস্যার মুখে পড়েছেন। তাঁরা চান দ্রুত বেতন দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হোক। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গোটা বিষয়টি প্রশাসনিক। সেখানে রাজনীতির কোনও জায়গা নেই। অধীরবাবু যে দাবি তুলেছেন তা ভিত্তিহীন। প্রয়োজনে উনি আদালতে যান।