অমিতাভের পর এবার ব্যক্তিত্ব সংরক্ষণের জন্য আদালতে ছুটলেন কুমার শানু
নিজস্ব প্রতিনিধি: মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন, রজনীকান্ত, জ্যাকি শ্রফ, অনিল কাপুরের পর এবার ব্যক্তিত্বের অধিকার সুরক্ষার্থে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হচ্ছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী কুমার শানু। বহু বছর ধরেই পপুলার তারকাদের কণ্ঠ, ছবি, তাঁদের ব্যক্তিত্ব ব্যবহার করে অনেকেই রোজগার করছে। তারকাদের গলার স্বর মিমিক্রি বা হরভোলার মাধ্যমে এমন অনেক মানুষ রোজগার করছেন এখনও। এছাড়াও তারকাদের ছবি পোস্টার ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংস্থাও কাজে লাগাচ্ছে। কিন্তু তারকাদের কণ্ঠস্বর, ছবি ব্যবহার করে ভাল কাজের থেকে খারাপ কাজের পরিমাণ এখন বেড়ে গেছে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি AI-এর সাহায্যে তারকাদেল কন্ঠস্বর নকল করে অনেক অপরাধও সংঘটিত হচ্ছে। যা কিনা সম্পূর্ণ বেআইনি।
যাতে করে অজান্তেই প্রতারণার কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে তারকাদের নাম। তাই আইনের মাধ্যমে অমিতাভ বচ্চন থেকে রজনীকান্ত-সহ তারকারা ব্যক্তিগত সংরক্ষণ আইন করে বিনা অনুমতিতে তাঁদের নাম, কন্ঠস্বর ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। এবার তালিকায় এলো কুমার শানুর নাম। ৯০ দশক থেকে যিনি বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে রাজত্ব করেছেন। যার ঝুলিতে প্রায় কয়েক হাজার গান রেকর্ড রয়েছে। শুধু হিন্দি বা বাংলা নয়, একাধিক ভারতীয় ভাষায় তিনি গান গেয়েছেন। যার একাধিক আইকনিক গানগুলি আজও মানুষ গুনগুন করেন। যাই হোক, ব্যক্তিত্বের অধিকার রক্ষার্থে শীঘ্রই আদালতে দ্বারস্থ হবেন কুমার শানু। কুমার শানুর কণ্ঠে একটি অনন্য টেক্সচার রয়েছে যা অনুলিপি করা বেশ কঠিন। তবুও AI এর সাহায্যে তাঁর কন্ঠ নকল হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে কুমার শানু বলেছেন যে, USA কনসার্টগুলি শেষ হওয়ার পরেই, তিনি দেশে ফিরে আদালতে এই বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করবেন। তিনি মনে করেন যে, 'প্রযুক্তি আজ AI দ্বারা প্রাধান্য পেয়েছে। যেকোনো মানুষের নকল করতে পারলো AI। আমার মনে হয় না এটা সঠিক হবে।
এই ধরনের পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। এআই বিপজ্জনক। সম্ভব হলে কম্পোজারদের উচিত মূল গায়ককে আবার রিমেকে গাইতে বাধ্য করা। কারণ রিমেক সংস্কৃতি কখনই পুরানো হবে না কারণ অতীতের গায়করা আজও প্রাসঙ্গিক থেকে যায় এবং লোকেরা তাদের বারবার শুনতে চায়।' কুমার শানুকে যেটা বিরক্ত করে তা হল মূল গায়করা কেন তাদের সক্ষমতা থাকতেও গান গাইতে পারবেন না। কভারে AI এর ব্যবহার অবশ্যই নিষিদ্ধ। শানু ভাবছেন কেন প্রযোজক এবং পরিচালকরা এই মৌলিক জিনিসটি বুঝতে পারছেন না এবং সুরকে উপেক্ষা করছেন। তিনি আরও বলেন, “সঙ্গীতের এখন বেসিকটাই শেষ করতে উঠেপড়ে লেগেছে AI। পুরানো গানগুলো রিমেক করলে আমি ঠিক আছি, কিন্তু আসল গায়ক যদি আবার গাইতে সক্ষম হয়, তাহলে উসে আছা কোই অর না গা পায়েগা। ইয়ে কিয়ুন না সমাজ পা রহে হ্যায় লোগ?' কুমার শানু ভারতীয় চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি ৯০ এর দশক থেকে তার সেরা ট্র্যাকের জন্য পরিচিত এবং উল্লেখযোগ্য সুরকারদের সঙ্গে কাজ করেছেন। গায়ক একদিনে ২৮ টি গান রেকর্ড করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও জিতেছিলেন।