দেখতে আকর্ষণীয়, কাজেও তুখোড়! কিন্তু বাস্তবে অস্তিত্বহীন এই সুন্দরী মডেল
নিজস্ব প্রতিনিধি: মানুষ মডেলদের দ্বারা হচ্ছেনা, তাই এবার আস্থা AI মডেলের উপর! সাধারণত বিনোদন জগতে যাঁরা কর্মরত, তাঁদের ফার্স্ট প্রাইওরিটি ফেস সুদর্শন হতে হবে। অর্থাৎ দেখতে সুন্দরী হতে হবে, যাতে ক্যামেরায় তাঁকে দেখতে ভাল লাগে। মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়। সমানভাবে অভিনয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু আজকাল সবদিক থেকে সুন্দর মানুষ খুঁজে পাওয়া ডিফিকাল্ট। একটা ভাল হলে অন্যটা মন্দ হবেই। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি অনেকটা সাহায্য করে বৈকি! কিন্তু তাতেও কিছুটা ফাঁক রয়েই যায়। এদিকে আজকাল আধুনিক প্রযুক্তির দাপট এতটাই বেড়েছে যে, অনেক কাজে মানুষের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ সবসময় মানুষকে দিয়ে নিখুঁত কাজ করানো সম্ভব নয়। সে জায়গায় এখন দখলদারি AI-এর। অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সির। বর্তমানে মার্কেটকে পুরো গ্রাস করে ফেলেছে আধুনিক এই প্রযুক্তি।
কি না হচ্ছে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে, AI ব্যবহার করে পুরোনদিনের গায়কদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের সঞ্চালিকাও বানানো হয়ে যাচ্ছে চটজলদি। এবার খোঁজ পাওয়া গেল আয়তানার। সে কে? সেটাই ভাবছেন? দেখতে তো সে তুখোড়! গোলাপি চুল। সুন্দর চোখ। বয়স মাত্র ২৫। পেশায় বিজ্ঞাপন মডেল। মাসিক আয় ১২ লাখ টাকার কাছাকাছি। তাঁকে দেখে মুগ্ধ হবেন না এমন কেউ নেই! কিন্তু তাকে দেখতে হলে পর্দাতেই চোখ রাখতে হবে, কারণ বাস্তবে তার কোনও অস্তিত্ব নেই।হ্যাঁ, গোঁড়ায় গণ্ডগোল। আয়তানা একজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রোগ্রাম। স্পেনের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) মডেল সে। স্পেনের দ্য ক্লুলেস নামের একটি সংস্থা তাকে তৈরি করেছে। তবে তাকে তৈরি করার যাত্রা আপনাকে কাঁদিয়ে দিতে পারে। আয়তানার প্রতিষ্ঠাতা দ্য ক্লুলেসের উদ্যোক্তা ও নকশাবিদ রুবেন ক্রুজ সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কঠিন এক সময়ে আতিয়ানা জন্ম নিয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে অনেক কাজ বাতিল হচ্ছিল।
অনেক সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছিল না। কারণ অনেক মডেল বা ইনফ্লুয়েন্সার ঠিকমতো কাজ করছিল না। তখনই তাঁরা নিজেদের ইনফ্লুয়েন্সার তৈরির কথা ভাবেন। এমন একটি ইনফ্লুয়েন্সার তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যে মডেল হিসেবে কাজ করবে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ড তার প্রতি আকৃষ্ট হবে। বিজ্ঞাপনী প্রচারও কম খরচে হবে। তাই তাঁরা অবশেষে আয়তানার জন্ম দেন।