ব্রিটেনের এবার নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল 'এআই প্রার্থী'
নিজস্ব প্রতিনিধি: গোটা বিশ্বজুড়ে AI-এর দাপট এখন মাত্রাতিরিক্ত। মাত্র অল্প কিছুদিনেই মানুষের আলসেমির এবং প্রতারণার মূল অস্ত্র হয়ে উঠেছে AI। আধুনিক প্রযুক্তিতে ভর করে মানুষ যেমন AI-কে ভালো কাজে লাগাচ্ছে, তেমনি AI দ্বারা অপরাধমূলক কাজের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে AI-এর সাহায্যে বিভিন্ন মডেল তৈরি করে তাঁদের দিয়ে নানারকম ডিজিটালি কাজও করানো হচ্ছে। তাতে খরচাও কমে আর নিখুঁত মডেলও খুঁজতে হয়না। কিন্তু AI দিয়ে ভোটের প্রার্থীও করা যায়, হ্যাঁ এবার এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে চলেছে ব্রিটেনের একজন নির্বাচনী প্রার্থী।
আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। সেই নির্বাচনেই এবার মানুষের পাশাপাশি ভোটযুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও (এআই)। মানুষের সঙ্গে এবার AI-এর লড়াই দেখবে গোটা পৃথিবী। আর যদি সৌভাগ্যক্রমে নির্বাচনে তিনি জিতে যান, তাহলে তিনিই হবেন বিশ্বের প্রথম ‘এআই আইনপ্রণেতা’। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ব্রিটেনে এবারের সাধারণ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য লড়াইয়ে সামিল কয়েকশ প্রার্থীর মধ্যে একজন হলেন স্টিভ এন্ডাকট। তবে তাঁর নির্বাচনী প্রচারের ধরন হবে অন্যদের থেকে একেবারেই আলাদা। তিনি নির্বাচনী প্রচারাভিযানের জন্যে লিফলেটে নিজের মুখের ছবির বদলে ব্যবহার করছেন এআই অবতার। ৫৯ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ী স্টিভ এন্ডাকট সংবাদমাধ্যমকে AI অবতার ব্যবহার করার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, তাঁরা একটি দল গঠন করেছেন।
এই নির্বাচনের পরে তাঁরা সারা দেশে আরও এআই প্রার্থী নিয়োগ করবেন। বড় এবং গণতান্ত্রিক কিছু ব্লক তৈরিতে এটি কার্যকরী। তিনি ব্রাইটন প্যাভিলিয়ন নির্বাচনী এলাকা থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথাগত রাজনীতিতে হতাশ হওয়ার কারণেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত। ব্যালট পেপারে তার নাম দেখাবে ‘এআই স্টিভ’। তাঁর যুক্তি, কর্মক্ষেত্র, সামাজিক যোগাযোগের মতো অনেক ক্ষেত্রেই এআই ব্যবহার করা হয়, তাহলে রাজনৈতিক ময়দানে কেন নয়! AI জীবনযাত্রার ধরনও বদলে দিতে পারে। এআই স্টিভ সম্পর্কে ব্রিটিশ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনে জিতলে এন্ডাকটই সংসদ সদস্য হবেন, কিন্তু তখন তাঁর AI সংস্করণকে গুরুত্ব দেওয়া হবেনা। তবে AI অবতারকে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোনও কাজের কাজ হবে না বলে জানাচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ তাকে ভোট দিতে স্থানীয় ভোটাররাই সন্তুষ্ট নন।