গাজায় ইজরায়েলি হামলায় পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারালেন ‘আল জাজিরা’র কর্মী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতে গাজায় কীভাবে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত করে চলেছে ইজরায়েলের খুনি বাহিনী, তার জলজ্যান্ত নিদর্শন সামনে এলো। জাবিলিয়া শরণার্থী শিবিরে অসহায় ফিলিস্তিনিদের উপরে ইজরায়েলি জল্লাদদের ছোড়া বোমার আঘাতে একই সঙ্গে পরিবারের ১৯ সদস্যকে হারিয়েছেন ‘আলজাজিরা’র কর্মী মোহাম্মদ আবু আল কামশান। মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলের চালানো হামলায় প্রাণ হারিয়েছে তাঁর বাবা, ভাই, দুই বোন, ভাইপো-ভাগ্নিরা।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার বদলা নিতে গাজার উপরে হামলা চালানো শুরু করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মদতপুষ্ট ইজরায়েলের ঘাতক বাহিনী। গত ২৫ দিন ধরে ইজরায়েলের ছোড়া বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে আট হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি। তার মধ্যে সিংহভাগই শিশু ও মহিলা। আবাসিক এলাকা থেকে শরণার্থী শিবির, হাসপাতাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গির্জা থেকে মসজিদ- ইজরায়েলের হানাদার বাহিনীর লক্ষ্য থেকে রেহাই পায়নি।
যুদ্ধের প্রথম থেকেই গোটা বিশ্বের কাছে ইজরায়েলি জল্লাদদের নৃশংসতা তুলে ধরতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘আলজাজিরা’র সাংবাদিক ও অসাংবাদিক কর্মীরা। গাজাজুড়ে চলা হত্যাযজ্ঞ তুলে ধরার জন্য ইজরায়েলি বাহিনীর রোষ গিয়ে পড়েছে ‘আলজাজিরা’র সাংবাদিক ও অসাংবাদিক কর্মীদের উপরে। কয়েক দিন আগেই ইজরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ‘আলজাজিরা’র গাজা ব্যুরোর সাংবাদিকের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে এবং নাতি। আর এবার জাবিলিয়া শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি হামলায় একই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন ‘আলজাজিরা’র ব্রডকাস্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবু আল কামশানের পরিবারের ১৯ সদস্য।