OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২৩০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত বাংলার সব পুরসভা

মাত্র ২টি পুরসভার দোষের জন্য বাংলার বাকি ১২৬টি পুরসভাকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২৩০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত করে রাখল মোদি সরকার।
09:35 AM Mar 23, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতে গোনা আর কয়েকদিন মাত্র। তারপরেই শেষ হয়ে যাবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ(2023-24 Financial Year)। এই অর্থবর্ষেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের(15th Finance Commission) মাধ্যমে বাংলার পুরসভাগুলির(Municipalities of West Bengal) মোট ২৩০০ কোটি টাকা(2300 Crore Rupees) পাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের কাছ থেকে। কিন্তু নদিয়া জেলার কল্যাণী এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কাঁচড়াপাড়া পুরসভা বিগত বছরের সামগ্রিক আর্থিক হিসেব জমা না দেওয়ার জন্য এবার বাংলার সব পুরসভাকেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা থেকে বঞ্চিত করে রাখল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার। প্রশ্ন উঠেছে, মাত্র ২টি পুরসভার দোষের জন্য কেন রাজ্যের বাকি শতাধিক পুরসভা এই প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হবে? আর এখানেই সবাই মনে করছেন, আসলে এখানেও বাংলাকে ও বাঙালিকে বঞ্চিত করার গেরুয়া ষড়যন্ত্রই কাজ করছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে বাংলার পুরসভাগুলির প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার। ঠিক যেভাবে ১০০ দিনের কাজের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা তাঁরা আটকে রেখেছে, সেই একই পথে হেঁটে বাংলার সব পুরসভার জন্য প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে মোদি প্রশাসন।

জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত দিয়েছিল দিল্লি। তার মধ্যে অন্যতম, রাজ্যের ১০০ শতাংশ Urban Local Bodies বা ULB যথা পুরসভাগুলি যদি দুটি অর্থবর্ষের রিপোর্ট জমা দেয় তাহলেই মিলবে সেই টাকা। সেই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের আর্থিক হিসেব এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষের অভ্যন্তরীণ হিসেবের অডিট রিপোর্ট জমা পড়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, বাংলার ১২৬টি পুরসভা এই সমস্ত হিসেব নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করলেও কল্যাণী এবং কাঁচরাপাড়া তা করেনি। পুরসভাগুলির আপলোড করা এই সমস্ত হিসেব রাজ্যের পুরদফতর খতিয়ে দেখার পরেই জমা হয় কেন্দ্রের কাছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র এই দুটি পুরসভার জন্যেই রাজ্যের সম্পূর্ণ টাকা আটকে গিয়েছে। কিন্তু হিসেব নির্দিষ্ট সময়ে জমা পড়েনি কেন?

কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান নীলিমেশ রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০১৫ সাল থেকে এই হিসেব বাকি ছিল। সেই কাজ গত ২ বছরে শেষ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখন চলছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের কাজটি। আর ১৫ দিনের মধ্যেই তা শেষ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। প্রায় একই যুক্তি দিয়েছেন কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান কমল অধিকারীও। তিনিও জানিয়েছেন, ৭ বছরের হিসেব দেওয়া বাকি ছিল। তাঁরা ৩ বছরের কাজ করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। বাকি ৪ বছরের কাজ শেষ হতে আরও তিনমাস প্রয়োজন। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ১৭টি পুরসভার এই হিসেব দেওয়া বাকি ছিল। রাজ্যের পুর দফতরের তরফে একাধিকবার তাগাদা দেওয়ায় সদ্য ১৫টি পুরসভা এই হিসেব শেষ করেছে। কিন্তু শুধুমাত্র ২টি পুরসভার জন্য এই অর্থবর্ষে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২৩০০ কোটি টাকা আর পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবুও প্রশ্ন থাকছে, মাত্র ২টি পুরসভার জন্য কেন বাংলার ১২৬টি পুরসভা বঞ্চিত হবে তাঁদের প্রাপ্য থেকে? মুখে কুলুপ মোদিতন্ত্রের।

Tags :
15th Finance Commission2023-24 Financial Year2300 Crore RupeesMunicipalities of West BengalNarendra modiUrban Local Bodies.
Next Article