OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

কেষ্ট’র ভাগ্নে রাজার বিরুদ্ধে উঠল ৪০ বিঘা জমি দখলের অভিযোগ

কেষ্টমামার ভাগ্নে হল রাজা ঘোষ। এখন তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে ৪০ বিঘা জমি দখল করে তা বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাস্থল বোলপুর।
11:58 AM Feb 04, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: মামা আছে জেলা। ভাগ্নে আছে বাইরে। মামা আছে তিহাড়ে। ভাগ্নে আছে বোলপুরে। মামাছাড়া সেই ভাগ্নের বিরুদ্ধেই এবার উঠেছে ৪০ বিঘা জমি দখল করে তা প্লটে ভাগ করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাস্থল যথারীতি মামার নিজের শহর, মানে বোলপুর(Bolpur)। নজরে মামা মানে শ্রীকেষ্ট মহাশয়, যাকে তামাম বাংলা চেনে অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol) নামে। বীরভূমের(Birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি। আপাতত সকন্যা দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দী। সেই কেষ্টমামার ভাগ্নে হল রাজা ঘোষ(Raja Ghosh)। তিনি আবার জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি। এখন তাঁর বিরুদ্ধেই উঠেছে ৪০ বিঘা জমি দখল করে তা বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। বোলপুর শহরের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া বাইপাসের ধারে ওই ৪০ বিঘা জমি দখলের(Land Capturing) অভিযোগ উঠেছে রাজা সহ তাঁর শ্বশুর অনুপেন্দ্র রায় ওরফে বাবলা রায় সহ তাঁদের পরিবার পরিজনদের বিরুদ্ধে।

রাজা ও তাঁর শ্বশুর সহ তাঁদের পরিবারের দিকে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন ওই জমির মালিক হিসাবে নিজেকে দাবি করা অমিত দাস। তাঁর দাবি, ‘বংশ পরম্পরা ওই জমি বাপ দাদুর সম্পত্তি। ১৯৬২ সালে ওই ৪০ বিঘা জমি কেনা হয়। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত খাজনা দেওয়া আছে। এতদিন জমি খালি অবস্থাতেই পড়ে ছিল। হটাৎ দেখছি প্লট করে করে দু একটি বাড়ি হচ্ছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে খোঁজখবর নিতেই দেখছি সেই জমি রাঘব বোয়ালদের নামে স্থানান্তরিত হয়েছে। রাজা ঘোষ তাঁর শ্বশুর অনুপেন্দ্র রায়ের পরিজনেরা জমি হস্তান্তর করেছেন। ২০০২ সালে দলিল তৈরী করে একের পর এক প্লট বিক্রি হয়েছে। আমরা নিরুপায় এখন কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।’ তবে রাজার দাবি, ওনার এই জমির সঙ্গে কোনও লেনদেন নেই। যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সবটাই মিথ্যা। তৃণমূলেরও দাবি, এই জমি লেনদেনের সঙ্গে কেষ্ট থুড়ি অনুব্রত মন্ডলেরও কোনও যোগ নেই। কেননা যে সময়ে জমির দলিল নকল হয়েছে সেটা ২০০২ সাল। তখন রাজ্যের ক্ষমতায় বামেরা ছিল।

তবে বোলপুর শহর ও তার আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় যখন বোলপুরের সাংসদ ছিলেন তখন থেকেই বোলপুরকে ঘিরে জমি দখলের সূত্রপাত হয়। শান্তিনিকেতনের কোপাই নদীতে সরকারি খাসজমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ থেকে খোয়াই ধ্বংস করে কংক্রিটের নির্মাণ সেই সময় থেকেই শুরু। বিঘার পর বিঘা জমির ভুয়ো আরএস বের করে মিউটেশন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে। আসল কাগজ নিয়ে প্রশাসনের দরবারে ঘুরেও লাভ হচ্ছেন না, আসল জমির মালিকের। অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে জাল মিউটেশনের ঘটনা। চাষযোগ্য অথবা ডাঙা জমির মালিকরা পথে বসছেন। নকল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের যোগসাজসে প্রযুক্তির সহায়তায় জমি হারাচ্ছেন আসল মালিকরা। পরিকল্পনা মাফিক বিঘার পর বিঘা জমির চরিত্র পরিবর্তন করে জমি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন আসল জমির মালিকরা।

Tags :
Anubrata mondolBirbhumBolpurLand Capturing.Raja Ghosh
Next Article