OthersWeb Stories
খেলা | অন্যান্যক্রিকেটফুটবল
ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ
বিনোদন | ধারাবাহিকটলিউডবলিউডহলিউড
শিক্ষা - কর্মসংস্থান
শারদোৎসব | মহালয়াবনেদিবাড়ির পুজোপুজো ভ্রমণপুজো বাজারতাহাদের কথাতারাদের পুজোগ্রামবাংলার পুজোআজকের দশভূজা
লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না
রাজ্য | হুগলিহাওড়ামুর্শিদাবাদমালদহবীরভূমবাঁকুড়াপূর্ব মেদিনীপুরপূর্ব বর্ধমানপুরুলিয়াপশ্চিম মেদিনীপুরপশ্চিম বর্ধমাননদিয়াদার্জিলিংদক্ষিণ দিনাজপুরদক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঝাড়গ্রামজলপাইগুড়িকোচবিহারকালিম্পংউত্তর দিনাজপুরউত্তর চব্বিশ পরগনাআলিপুরদুয়ার
বিবিধ | আনন্দময়ী
আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর

অমর্ত্যের জমি মামলায় হার বিশ্বভারতীর, জয় নোবেলজয়ীর

এদিনের মামলার হার যত না বিশ্বভারতীর হার হিসাবে উঠে এসেছে, তার থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও গেরুয়া শিবিরের হার হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।
03:21 PM Jan 31, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: হার হল বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর(Bidyut Chakrabarty)। হার হল বিশ্বভারতীর(Viswabharati University)। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের(Amartya Sen) পৈতৃক ভিটে শান্তিনিকেতনের(Shantiniketan) ‘প্রতীচী’র(Pratichi) জমি নিয়ে যে মামলা বীরভূম জেলার সিউড়ি সদর আদালতে(Suri District Court) চলছিল সেই মামলায় হেরে গেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। জিতে গেলেম অমর্ত্য সেন। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি জেলা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে ফের মামলা করতে চলেছে বিশ্বভারতী। এদিন সিউড়ির আদালতে অমর্ত্যের জমি মামলার(Land Case) রায় দিতে গিয়ে আদালত বিশ্বভারতীর Eviction Order বা উচ্ছেদের নির্দেশ সম্বলিত নোটিস খারিজ করারও নির্দেশ দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া সরকারি ভাবে এখনও মেলেনি। তবে এদিনের মামলার হার যত না বিশ্বভারতীর হার হিসাবে উঠে এসেছে, তার থেকে অনেক বেশি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও গেরুয়া শিবিরের হার হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন, এই অভিযোগ তুলে এক সময় সরব হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই সময় অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও জমি ছাড়তেই হবে অমর্ত্যকে, এই দাবিতেই অনড় থাকেন বিদ্যুৎ ও তাঁর অধীনস্থ বিশ্বভারতী। তার জেরেই মামলা করতে বাধ্য হন অমর্ত্য। সেই মামলা প্রথমে দায়ের হয়েছিল বোলপুর মহকুমা আদালতে। সেই মামলা চলাকালীন বিশ্বভারতী অমর্ত্যকে বিতর্কিত ১৩ ডেসিমেল জমি ছাড়ার নির্দেশ ও উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছিল। কিন্তু সেই মামলাতে রায় গিয়েছিল অমর্ত্যের পক্ষেই। খারিজ হয়েছিল বিশ্বভারতীর নির্দেশ। কিন্তু বিশ্বভারতী সেই রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে সিউড়ি জেলা আদালতে। তখনও বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে ছিলেন বিদ্যুৎ। এদিন অবশ্য বোলপুর মহকুমার আদালতের রায়কেই বহাল রেখেছে সিউড়ি জেলা আদালত। বিশ্বভারতীর জমি দখলের নোটিস খারিজ করে দিয়েছে জেলা আদালত।

এদিন নোবেলজয়ীর আইনজীবী বিমান চৌধুরী রায় ঘোষণার পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, ‘আমাদের আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। বিশ্বভারতী যে নোটিস দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। আদালত আপাতত বিশ্বভারতীর দাবি খারিজ করে দিল। বিশ্বভারতীর দাবি আর রইল না। জজ সাহেব রায়ে বলেছেন, বিশ্বভারতীর ‘এভিকশন অর্ডার’ সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ। এটা বিদ্যুৎ চক্রবর্তী করতে পারেন না। গোটা ঘটনাটি পরিকল্পনামাফিক, পক্ষপাতিত্বমূলক বলে জানিয়েছে আদালত।’ তবে সূত্রে জানা গিয়েছে এদিনের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে পারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Tags :
Amartya SenBidyut ChakrabartyLand casePratichi.ShantiniketanSuri District Court.Viswabharati University
Next Article