পুরির সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি অপরাজিতা আঢ্যর, পা কেটে রক্তারক্তি অবস্থা
নিজস্ব প্রতিনিধি: বাঙালির পায়ের তলায় সরষে। একটু সময় সুযোগ পেলেই ব্যাস ব্যাগপত্র গুটিয়ে ধাঁ। যদিও ছুটির অভাবে তেমন কোথাও প্ল্যান করতে না পারলেও ‘দিপুদা’ তো আছেই। হ্যাঁ, দিঘা, পুরী আর দার্জিলিং যায়নি, এমন বাঙালি একটু কমই পাওয়া যায়। গরীব থেকে ধনী সবারই ঘুরতে যাওয়ার প্রথম গন্তব্য এই তিনটি স্থান। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, তারকাদেরও একই অবস্থা। শুটিং থেকে একটু ফুরসৎ মিলতেই পরিবার বা একা একাই বেরিয়ে পড়া যায় এই ৩ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। যাই হোক, সম্প্রতি পুরি গিয়েছিলেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। স্বামী অতনু হাজরাও ছিল তাঁর সঙ্গে। স্বামীর হাত ধরে নেমেছিলেন সমুদ্রে। কিন্তু সেখানেই বিপত্তি। ভিডিয়ো শেয়ার করে অভিনেত্রী নিজেই জানালেন এ কথা।
এমনিতে অভিনেত্রী পর্দার মতো বাস্তবেও খুব সাদামাটা। নিজের পছন্দমতো চলতে ভালোবাসেন। পশ্চিমী থেকে ভারতীয় সব পোশাকেই সমান মানানসই অভিনেত্রী। আকারে তিনি মোটেও জিরো ফিগার নয়, কিন্তু একটাই তো জীবন! সবরকমভাবে আনন্দে বাঁচতে চান অভিনেত্রী, এদিন অভিনেত্রীর ভিডিওর শুরুতে দেখা যাচ্ছে, তিনি টি-শার্ট আর শর্টস পরে আছেন। তাঁর সঙ্গে স্বামীও আছেন। একে অপরের হাত ধরে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। নেপথ্যে বাজছে সালমা আঘার গান। ক্যামেরার সামনে পোজও দিয়েছেন স্বামী-স্ত্রী।এর পরই অভিনেত্রীকে বালিতে বসে থাকতে দেখা যায়। সঙ্গে অভিনেত্রীকে বলতে দেখা যায়, “পুরীর সমুদ্রের ব্যাপারই আলাদা। কিন্তু আমি প্রায় ঢেউয়ের দাপটে চলে যাচ্ছিলাম। কোনওরকমে উঠে এসেছি। আর তাড়াহুড়ো করে উঠে আসতে গিয়েই আমার পায়ে কেটে গেছে। কিন্তু এরপরও খুব মজা লাগছে।” কারণ ভালবাসার মানুষের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ কতক্ষণই বা পাওয়া যায়। তাই না!
এদিকে গতকাল শেষ হয়ে গিয়েছে অপরাজিতা আঢ্যর স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘জল থই থই ভালোবাসা’। মাত্র কয়েক মাস এই সিরিয়ালটি রাজত্ব করেছে স্টার জলসার পর্দায়। আর তাতেই দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিল ধারাবাহিকটি। টিআরপির তালিকাতেও প্রথমদিকে থাকত এই ধারাবাহিক। গতকাল হয়ে গেল এই ধারাবাহিকের শেষ সম্প্রচার। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এই সিরিয়াল শুরু হয়েছিল। তাই শেষ শুটিং অনেক আগেই সেরে ফেলেছিলেন অভিনেত্রী, এরপরই ঘুরতে চলে যান তিনি। কোজাগরি বসুর চরিত্রে অভিনয় করে বাংলা টেলিভিশনের দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন অপরাজিতা। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই সিরিয়ালটি বন্ধ হয়ে গেল, তাতে একেবারেই অসন্তুষ্ট দর্শকরা।