আরাবুলকে ১২ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ আদালতের
নিজস্ব প্রতিনিধি: দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে ১২দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শুক্রবার আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেয় আদালত। আরাবুল ইসলামের(Arabul Islam) পক্ষে আইনজীবী আদালতে আর্জি জানান যে তার মক্কেল দীর্ঘদিন অসুস্থ। বাড়িতে চিকিৎসাধীন। অপরদিকে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ আরাবুলকে নিজেদের হেফাজতে চায়। দুপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব শোনার পর বারুইপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট তাকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ের আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। তার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটের সময় এক আইএসএফ নেতাকে খুনের ঘটনায় যুক্ত বলে অভিযোগ ছিল। যদিও আরাবুলের আইনজীবী শুক্রবার আদালতে দাবি করেন, যেদিন খুনের ঘটনা ঘটেছে সেই সময় আরাবুল ইসলাম ভাঙড়- ২ বিডিও অফিসে বসে ছিলেন। পাশাপাশি ওই আইনজীবী আদালতের কাছে যুক্তি দেখান যখন ঘটনা ঘটলো তখন কেন আরাবুলকে গ্রেফতার করা হলো না? প্রয়োজনে ওই ঘটনার দিন বিডিও অফিসের সিসিটিভি (CCTV)ফুটেজ দেখার আর্জি জানান তিনি আদালতে(Court)। একই সঙ্গে আরাবুলের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন কলকাতা পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আরাবুলকে গ্রেফতার করেছে এবং তাকে হেফাজতে নিতে চাইছে। তাই তাঁদের আবেদন খারিজ করা হোক। আরাবুলের আইনজীবী এদিন আদালতে কেউ বলেন এতদিন বাদে অস্ত্র উদ্ধারের নামে তার মক্কেলকে হয়রানি করা হচ্ছে।
অপরদিকে পুলিশের পক্ষে আইনজীবী বলেন ৮ মাস বাদে কলকাতা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছে সেদিন তিন হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাদের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন আরাবুল। যে অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে সেই অস্ত্র উদ্ধার করা এখন মূল লক্ষ্য পুলিশের তাই তাকে হেফাজতে দেওয়া হোক। অবশেষে আদালত একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরাবুল ইসলামকে তদন্তের স্বার্থে পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। তবে পুলিশে হেফাজতে থাকাকালীন আরাবুল ইসলামের শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাই আপাতত ১২ দিনের জন্য আরাবুল ইসলামের অস্থায়ী ঠিকানা লালবাজার।