নাটক শেষ, বিজেপিতে ফিরলেন ‘আয়ারাম গয়ারাম’ অর্জুন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সব নাটকের অবসান ঘটল দিল্লির বুকে। ‘আয়ারাম গয়ারাম’ অর্জুন সিং(Arjun Singh) এদিন বিজেপির সদর কার্যালয়ে ফের পদ্মের হাত ধরলেন। হয়তো আবারও ব্যারাকপুর(Barracpur Constituency) থেকেই তিনি বিজেপির প্রার্থী হবেন। তবে লক্ষ্যণীয়, এদিন দিল্লিতে বিজেপির(BJP) সদর কার্যালয়ে অর্জুনের পদ্মে প্রত্যাবর্তনের অনুষ্ঠানে অমিত মালব্য ভিন্ন আর কোনও বড় নেতা ছিলেন না। ভুললে চলবে না অর্জুন যখন প্রথমবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন উনিশের ভোটের আগে তখন সেই যোগদান পর্বে হাজির ছিলেন মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো নেতারা। সেই হিসাবে দেখলে এদিন অর্জুনের যোগদান পর্ব ছিল উনিশের তুলনায় অনেক অনেক জৌলুসহীণ ম্লান। এদিন অর্জুনের সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও(Dibendu Adhikari)। তবে অর্জুনের ব্যারাকপুর থেকে টিকিটপ্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকলেও দিব্যেন্দুর তমলুক(Tamluk Constituency) থেকে তো বটেই বাংলার অন্য কোনও লোকসভা কেন্দ্র থেকেও টিকিটপ্রাপ্তি ঘিরে ঘোর সংশয় রয়েছে।
অর্জুন একুশের ভোটে দলকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের মুখ দেখাতে পারেননি। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতেই হারে বিজেপি। কার্যত তারপর থেকেই অর্জুনের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল। ২০২২ সালে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়েও যান। আবার দিব্যেন্দুও তৃণমূলের সাংসদ হওয়ার পরেও দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নেন। কার্যত দলের সঙ্গে সব সম্পর্কে ত্যাগ করেছিলেন দিব্যেন্দু। অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব প্রকট হয়ে ওঠায় এটা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে ২৪’র ভোটে(General Election 2024) তৃণমূল থেকে অধিকারীদের কেউ প্রার্থী হতে পারবেন না। অর্জুন অবশ্য আশাবাদী ছিলেন ২৪’র ভোটে তিনি ব্যারাকপুর থেকে তৃণমূলের টিকিট পাবেন। কিন্তু ভেতর ভেতর তিনি যোগ রাখছিলেন বিজেপির সঙ্গেও। ইচ্ছা ছিল ২৪’র ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে ফের পদ্মে ফিরবেন। কিন্তু সেই সুযোগ তৃণমূল তাঁকে আর দেয়নি। টিকিট না পেয়েই পদ্মে ফিরে গেলেন অর্জুন। সঙ্গে নিয়ে গেলেন দিব্যেন্দুকেও। যদিও তাতে তৃণমূলের লোকসান কিছুই হবে না।