গাজায় রেড ক্রসের কার্যালয়ের কাছে গোলাবর্ষণে নিহত অন্তত ২২ ফিলিস্তিনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় রেড ক্রসের একটি কার্যালয়ের কাছে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় নিহত অন্তত ২২ জন ফিলিস্তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ জুন) এই হামলা চালানো হয়। হামলায় রেড ক্রসের কার্যালয়টি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্থাটির আশে-পাশে আশ্রয় নেওয়া ২২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রায় ৪৫ জন আহত হয়েছে।
যদিও হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোলাবর্ষণের ঘটনায় ২৫ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছে। আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের তাবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এই ভয়াবহ হামলার জন্য তারা ইজরায়েলকেই দায়ী করেছে। হামাসের দাবি এই হামলার পেছনে রয়েছে ইজরায়েল। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র এই হামলার ঘটনায় কোনরকম দায় নেন নি। তিনি জানিয়েছেন, হামলার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে তারা এই কাজ করে নি।
এই নিয়ে তিনি এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গেছে যে, আল-মাওয়াসির এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অভিযান চালিয়েছে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এই ঘটনার কোন প্রমাণ নেই।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল। গাজা এখন মৃত্যুপুরী।৮ মাস হয়ে গেছে, ইজরায়েলের নারকীয় হত্যাকান্ড এখনও বন্ধ হয় নি। ইজরায়েলের আক্রমন থেকে রেহাই পায় নি ছোট্ট ছোট্ট শিশু ও নারীরা। স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, গির্জা, মসজিদও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকান্ড বন্ধ রাখে নি ইজরায়েল। বারবার সতর্ক করেছে বিভিন্ন মানবাধিকরা সংগঠনগুলি। গাজায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নবজাতক শিশু ও মায়েদের জন্য 'দুঃস্বপ্ন' বলে আখ্যা দিয়েছিল জাতিসংঘ।
গাজা এবং ইজারয়েল দুই পক্ষের মধ্যে এখনও রক্তপাত বন্ধ হয় নি। প্রায় প্রতিদিনই হামলার ঘটনা ঘটছে। গাজায় যুদ্ধ বিরতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদান ও হয়েছিল। পক্ষে ১৪ টি ভোট পড়েছিল। যদিও ভোটদান দিতে অস্বীকার করেছে রাশিয়া। এই প্রস্তাব পাস হওয়া সত্ত্বেও গাজায় তীব্র হামলা বন্ধ রাখে নি ইজরায়েল। যুদ্ধ বিরতি কবে হবে এটাই এখন একটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।