গাজায় ত্রাণ শিবিরে ইজরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ৩৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফার শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এতে কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
সোমবার (২৭ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাফায় বাস্তুচ্যুত শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। এটি ছিল ভয়াবহ বিমান হামলা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এই হামলায় শিশুসহ অনেকে হতাহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।
এর আগে, রবিবার (২৬ মে) ইজরায়েলের তেল আবিবকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি জানিয়েছে, গাজার গণহত্যার প্রতিবাদেই বেশ কিছুসংখ্যক রকেট ছুঁড়েছে হামাসরা। এর পাল্টা ইজরায়েলি সেনারাও জানিয়েছে, হামাস দীর্ঘ চার মাস পর ইজরায়েলের তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের রাফা শহর থেকে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে। এবং ইজরায়েলি সেনারা তা মোকাবিলা করেছে।
হামাসের হামলার পর থেকে ইজরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইজরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইজরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লক্ষের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আত্মীয়স্বজন, পরিবার, পরিজন হারিয়ে আজ তাঁরা বাস্তচ্যুত। থাকার ঠিক নেই। খাওয়ার ঠিক নেই। অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় দিন কাটছে তাঁদের। এমনকী তাঁদের একমাত্র সম্বল ত্রানটুকুও কেড়ে নিচ্ছে ইজরায়েল। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকছে তাঁরা। এই বুঝি হামলায় মৃত্যু যন্ত্রণার চিৎকার ভেসে এল।নারী ও শিশুদের কঙ্কালে পরিণত হয়েছে গোটা গাজা।
জাতিসংঘের মতে, ইজরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।