বারাসতের কাজীপাড়ায় শিশু খুনের ঘটনায় এলাকা থমথমে, রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
নিজস্ব প্রতিনিধি,বারাসত: বৃহস্পতিবার রাতের পরে শুক্রবার সকাল থেকে থমথমে গোটা এলাকা। এলাকায় রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী । রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ নিয়ে আসা হবে । এই ঘটনার বিষয় বারাসত পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(Add.S.P.) স্পর্শ নীলাঙ্গী জানান ,ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। আমরা সমস্ত রিপোর্ট জেনে তারপরই আগামী পদক্ষেপ নেব। পাশাপাশি এফএসএল টিম এর রিপোর্ট নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে,বারাসতে নিখোঁজ শিশুর পচা গলা দেহ উদ্ধার হয় বৃহস্পতিবার। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বারাসতের কাজীপাড়া (Kajipara)অঞ্চলে। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা।
গত রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে বাবার থেকে দশ টাকা নিয়ে দোকানে চপ মুড়ি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় বারাসত পৌরসভার(Barasat Municipality) ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১১ বছরের একটি বালক। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও বাচ্চাকে না পেয়ে বারাসত থানায় এবং রেল পুলিশের কাছে নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ জানায় শিশুর পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের সময় ওই শিশুর পচা গলা দেহ উদ্ধার হয় নিজের বাড়ির পাশের বাড়ির বাথরুম থেকে। এই বিষয়ে পরিবারের লোকজনের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে শিশুকে খুন করা হয়েছে। বারাসত থানার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বারাসত থানার পুলিশ তদন্তে নেমে কাজীপাড়া এলাকায় তল্লাশি চালায় ও জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু লোককে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে দুজনকে আটক করে বারাসত থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় পরিস্থিতি দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা গেঞ্জি মিলের(Ganji Mill) কাছে যশোর রোড অবরোধ করে রাখে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের উপরে চড়াও হয় স্থানীয় বাসিন্দারা । ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। এরপরই পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী(Central Force) নামানো হয়। তবে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই এই খুন করা হয়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে বারাসাত পুলিশ মর্গে । শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ময়নাতদন্ত করে বারাসত থানার পুলিশ।