For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

ভোট বাজারে বাসন্তী পুজোর প্রত্যাবর্তন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে

রবিবার পয়লা বৈশাখ থেকে দশমীতে বিসর্জন পর্যন্ত সকলের জন্য অবারিত থাকবে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ির দুয়ার। নেপথ্যে বাসন্তী পুজোর প্রত্যাবর্তন।
10:25 AM Apr 14, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
ভোট বাজারে বাসন্তী পুজোর প্রত্যাবর্তন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজনীতির(Politics) কী মহিমা! হবে নাই বা কেন, ভোট বলে কথা। বৈতরনী তো পার হতেই হবে। অগ্যতা তাই রাজনীতির হাত ধরেই নদিয়া(Nadia) জেলার কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে(Krishnanagar Rajbari) ফিরল বাসন্তী পুজো(Basanti Puja)। একসময় এই পুজো রাজবাড়িতে হতো ঠিকই, কিন্তু পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। রাজবাড়ির সদস্যরা তো বটেই, খোদ কৃষ্ণনগর শহরের অতি প্রবীণ মানুষেরাও বলতে পারছেন না এই বাড়িতে তাঁরা শেষ কবে বাসন্তী পুজো হরে দেখেছেন। তবে এই বছর অবশ্যই তাঁরা সেই পুজো দেখতে পাবেন রাজবাড়ির নাটমন্দিরে। আর সেই সুবাদে এদিন অর্থাৎ রবিবার পয়লা বৈশাখ থেকে দশমীতে বিসর্জন পর্যন্ত সকলের জন্য অবারিত থাকবে রাজবাড়ির দুয়ার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পুজোর সঙ্গে রাজনীতির কী সম্পর্ক আর সেই পুজোর প্রত্যাবর্তনের সঙ্গেই বা রাজনীতির কী সম্পর্ক আছে? উত্তর মিলবে খোদ কৃষ্ণনগরের রানীমা অমৃতা রায়ের(Amrita Roy) বক্তব্যেই। ভুললে চলবে না এই রানীমাই, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) বিজেপির(BJP) হয়ে প্রার্থী হয়েছেন কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে।  

Advertisement

প্রচলিত বিশ্বাস, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই বাংলায় কার্তিক মাসে শুক্লা নবমী তিথিতে তন্ত্রমতে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা। এখন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে সেই পুজো হয় যথাযথ ভক্তি ও শ্রদ্ধা মেনে। একই সঙ্গে কৃষ্ণনগর শহরের পাশাপাশি বাংলার অনেক গ্রাম ও শহর এলাকাতেও জগদ্ধাত্রী পুজো সেখানকার মূল উৎসবে পরিণত হয়েছে। আবার চন্দননগরে সেই জগদ্ধাত্রী পুজোই হয় বৈষ্ণব মতে ৪ দিন ধরে কার্তিক মাসে শুক্লা সপ্তমী তিথি থেকে। সেই রীতিও বাংলার অনেক জায়গায় মানা হয়। কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলনেরও অনেক আগে থেকেই দুর্গাপুজোর প্রচলন ছিল। শারদীয়া সেই পুজোয় মা দুর্গা রাজবাড়িতে পূজিতা হন রাজরাজেশ্বরী রূপে। আজও সেই পুজো নিষ্ঠা সহকারেই পালিত হয়। কিন্তু স্মরণাতীত কালে কেউ মনে করতে পারছেন না রাজবাড়িতে বাসন্তী পুজো হতে কে কবে দেখেছেন।

Advertisement

এবার আসা যাক রানীমার কথায়। অমৃতা রায় জানিয়েছেন, ‘রাজবাড়িতে অন্নপূর্ণা পুজো হয়। নদিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ভবানন্দ মজুমদারের হাত ধরেই অন্নপূর্ণা পুজোর প্রচলন হয়েছিল। মুঘল সেনাপতি মানসিংহকে যুদ্ধে সহায়তা করার পুরস্কারস্বরূপ সম্রাট জাহাঙ্গির ১৬০৬ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে “মহারাজা” উপাধি প্রদান করেন। সেই খুশিতে অন্নপূর্ণার একনিষ্ঠ ভক্ত ভবানন্দ মূর্তি গড়ে দেবীর পুজো শুরু করেন। এখনও সেই প্রথা মেনে রাজবাড়িতে অন্নপূর্ণা পুজো হয়। কিন্তু আমি বিয়ের পর এ বাড়িতে এসে বাসন্তী পুজো হতে দেখিনি। শুনেছি, নানা কারণে পূর্বসুরীরা তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। রাজপরিবারে অনেক আগে থেকেই এই পুজো হত। মনে রাখতে হবে, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই পরিবারের ৩০তম রাজা। তাঁর দুর্গোৎসবের কথা সকলেরই জানা। কিন্ত অকাল বোধনের আগে রাজপরিবারে বাসন্তী পুজো হত। সেই পুজো কবে বন্ধ হয়েছিল তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।’ তাহলে এখন হঠাৎ করে সেই বন্ধ পুজো কেন ফের শুরু হচ্ছে?

তৃণমূলের(TMC) নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, ‘রাজবাড়ি জনগণ থেকে বিছিন্ন। এই পুজোর উদ্দেশ্য, চার দিন ধরে দরজা খুলে রেখে জনসংযোগ করা। ওরা ধর্মচর্চা করেন রাজনৈতিক মুনাফা লাভের জন্য। তাকে সঙ্কীর্ণ দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা ওদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।’ যদিও রানীমা অমৃতার দাবি, ‘এই পুজোর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ভোট বা জনসংযোগের ব্যাপারও নয়। আমাদের মনে হয়েছে, সকলের কল্যাণের জন্য রাজবাড়ির এই ধারা পুনরুজ্জীবিত করা দরকার।’ তর্ক থাকুক তর্কের জায়গায়। বিশ্বাস থাকুক অন্তরে। আপাতত চরম বাস্তব, বহু বছর পর কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির নাটমন্দিরে ফের বাসন্তী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এদিন অর্থাৎ রবিবার থেকেই সেই পুজো শুরু হয়ে যাচ্ছে। এদিনই সন্ধ্যায় হবে ঘটস্থাপন এবং অধিবাস।

Advertisement
Tags :
Advertisement