হাথরসের পদপিষ্টের ঘটনায় শোকপ্রকাশ মমতার
নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্টের ঘটনায় শতাধিক পুণ্যার্থীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইটার) এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘এইমাত্র জানতে পেরেছি যে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে কমপক্ষে ২৭ জন পুণ্যার্থী প্রাণ হারিয়েছেন (সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭) । শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার হাথরসের রতিভানপুরের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক পুণ্যার্থী হাজির ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পদপিষ্ট হন অসংখ্য পুণ্যার্থী। ঘন্টার পর ঘন্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে মারা যান প্রায় ৬০ জন পুণ্যার্থী। বাকিদের উদ্ধার করে প্রথমে সিকন্দরারাউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আহতদের নিয়ে গেলেও সেখানে চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিল না। হাসপাতালে মাত্র এক জন চিকিৎসক ছিলেন। ফলে চিকিৎসার গাফিলতির কারণে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিককে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজক মহেন্দ্র চন্দ্র দুর্ঘটনার দায়ভার জেলা প্রশাসনের কাঁধেই চাপিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানে যে লক্ষাধিক পুণ্যার্থী যোগ দেবেন, তা আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন অনুষ্ঠানের অনুমতি দিলেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি।’ যদিও জেলাশাসক আশিসকুমার এবং পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে কেন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে হুড়োহুড়ির ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।