বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত ২ জঙ্গি কলকাতার হোটেলে আত্মগোপন করেছিল
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেঙ্গালুরু রামেশ্বরম বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত ২ জঙ্গি কলকাতার লেলিন সরণিতে একটি হোটেলে আত্মগোপন করেছিল। ভুয়ো তথ্য দিয়ে ধর্মতলা সংলগ্ন লেলিন সরণির একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নিয়েছিল পরে পালিয়ে গিয়ে কাঁথিতে ডেরা বেঁধেছিলেন। শুক্রবার বিকেলে এনআইএ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ধৃত দুই জঙ্গি মুসাভির শাজিব হুসেন এবং আবদুল মতিন ত্বহাকে এদিনই কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পেশ করা হয়। আরও বেশ কিছু তথ্য পেতে দুজনকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় এনআইএ।
এই রাজ্যে এসে প্রথমে কলকাতার লেনিন সরণির একটি হোটেলে উঠেছিল আব্দুল মথিন আহমেদ ত্বহা ও মুসাভির হুসেন শাজিব, খবর এনআইএ সূত্রে। গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের পর এই দুজনকে গরু-খোঁজা খুঁজছিলেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। অবশেষে, আজ, পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র থেকে হদিস মিলল তাদের।সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ প্রথমে লেনিন সরণির হোটেলে উঠেছিল ২ সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি। কিন্তু মোটে ১ দিনের জন্য কলকাতায় ছিল মুসাভির ও আব্দুল। তার পর, গত ২৮ দিন ধরে বাংলায় ঘুরেছে দুজন। ২-৩ দিন আগেই নিউ দিঘার হোটেলে ওঠে তারা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দার্জিলিংয়ের হোটেলে পর্যটক পরিচয় দিয়ে উঠেছিল ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি। ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স ও আধার কার্ড বানিয়ে ঘুরেছে তারা।
গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে দশ জন আহত হন। জঙ্গি যোগের সন্দেহে ওই তদন্তভার দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। ঘটনার পরেই ওই ক্যাফের সিসিটিভি(CCTV) ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, এক যুবক ক্যাফের ভেতরে একটি ব্যাগ রেখে আসে, ঘন্টাখানেক পর তা থেকেই ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনা। বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত মূল অভিযুক্ত মুজাম্মিল শরিফকে আগেই আটক করা হয়েছিল। খোঁজ চলছিল সন্দেহভাজন বাকি দুজনের। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এনআইএ'র পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশকে জানানো হয়, রামেশ্বরম বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই অভিযুক্ত কাঁথিতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।
রাতেই গোপনে অভিযান চালিয়ে কাঁথি থেকে দুই আত্মগোপনকারী মুসাভির শাজিব হুসেন এবং আবদুল মতিন ত্বহাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও কোথা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি এনআইএ।