রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়ার পথে বিজেপি
নিজস্ব প্রতিনিধি: বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই আভাস মিলেছিল। রবিবার সকালে বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্রের সিল খোলার পরে স্পষ্ট হচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান দুই রাজ্যেই সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। মরু রাজ্যের তুলনায় মধ্যপ্রদেশে চমকে দেওয়ার মতো ফল করতে চলেছে পদ্ম শিবির। লোকসভা ভোটের আগে উত্তর ও মধ্য ভারতের দুই হিন্দিভাষী রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন হওয়াটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে অনেকটাই স্বস্তির খবর।
এদিন সকাল আটটা নাগাদ ভোট গণনা শুরু হয় দুই রাজ্যে। প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গণনা হয়। তাতে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও রাজস্থানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে পাঞ্জা ও কমলের মধ্যে। পোস্টাল ব্যালটের পরেই শুরু হয় ইভিএমের ভোট গণনা। শুরুতে দুই রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যেতে থাকে পদ্ম শিবির। দুই দলের মধ্যে ব্যবধান বেড়ে চলেছে। সকাল দশটার মধ্যেই সরকার গঠনের মতো ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে যায় পদ্ম শিবির।
সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট গণনার যে ফলাফল জানা গিয়েছে তাতে মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন ১৫৬টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে মাত্র ৭১টি আসনে। অন্যান্যরা তিনটি আসনে। ছিন্দওয়াড়ায় পিছিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও পিছিয়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে, মরু রাজ্যে গত তিন দশক ধরে পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের যে রীতি রয়েছে, তা বজায় থাকছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ১৯৯টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। বিজেপি এগিয়ে ১০৪টি আসনে। কংগ্রেস এগিয়ে ৭৩টি আসনে। বিএসপি ২টি এবং অন্যান্যরা ২০টি আসনে এগিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত সর্দারপুরা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ঝালরাপাতান আসনে এগিয়ে রয়েছেন। শুরুতে টঙ্ক আসনে শচিন পাইলট পিছিয়ে থাকলেও পরে এগিয়ে যান।