For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘আপনারা বিভক্ত হলে বিজেপির লাভ’, সংখ্যালঘুদের বার্তা মমতার

‘অনেক কুৎসা হচ্ছে। তাতে কান দেবেন না। আপনারা বিভক্ত হলে বিজেপির লাভ। একত্রিত থাকলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব’ - সংখ্যালঘুদের বার্তা মমতার।
03:48 PM Dec 06, 2023 IST | Koushik Dey Sarkar
‘আপনারা বিভক্ত হলে বিজেপির লাভ’  সংখ্যালঘুদের বার্তা মমতার
Courtesy - Facebook and Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গে যাওয়ার আগে রাজ্য তথা দেশের সংখ্যালঘুদের(Minorities) জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ১৯৯২ সালের এই দিনেই অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ(Babri Masjid) ধ্বংস হয়েছিল। সেই দিনটিকে মনে রেখেই এদিন অর্থাৎ বুধবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের(TMC Minority Cell) তরফে কলকাতার মেয়ো রোডে স‌ংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উত্তরবঙ্গ সফরের জন্য মমতা সশরীরে সেই সভায় যোগ দিওতে পারেননি। তবে সেখানে উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস তাঁর ফোনের মাধ্যমে মমতার বার্তা সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছে দেন। মন্ত্রী মাইকের সামনে তাঁর নিজের সেই ফোন ধরে মমতার কথা শোনান সমাবেশে আসা জনতাকে।

Advertisement

কী বলেছেন মমতা? তৃণমূল সুপ্রিমো সংখ্যালঘু সমাজের মানুষকে জানান, ‘অনেক কুৎসা হচ্ছে। তাতে কান দেবেন না। আপনারা বিভক্ত হলে বিজেপির লাভ। আজকে শপথ নেওয়ার দিন। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন। ভোট ভাগাভাগির কারণে ৩টে রাজ্যে বিজেপি জিতে গিয়েছে। ওটা বিজেপির জয় নয়। একত্রিত থাকলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব। বাংলা চায় বিজেপির পরাজয়। বাংলা চেয়ারের জন্য নয়, মানুষকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে। আবার খেলা হবে। বিজেপিকে হটাও, বিভেদ দূর করো। বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি(BJP)। ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু তাদের এই মানসিকতাকে জিততে দিলে চলবে না। তাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে। ওরা নানা ভাবে এই একতা ভাঙার চেষ্টা করবে। কুৎসা ছড়াবে। মিথ্যে অভিযোগ তুলে নানারকম আক্রমণ করবে। কিন্তু সেসবে কান দিলে চলবে না। বিজেপিকে রুখে দিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে।’

Advertisement

রাজ্য রাজনীতিতে একুশের ভোটের সময় থেকেই বিরোধী পরিসরে ও রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে দেখা যাচ্ছে আব্বাস সিদ্দিকি(Abbas Siddiqui) ও নওশাদ সিদ্দিকির(Nowshad Siddiqui) আইএসএফ(ISF)। এদিন মমতা সরাসরি তাঁদের নাম না নিয়েই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘ধর্মস্থানকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু কেউ কেউ ধর্মস্থানের নাম করে ভুল বোঝাচ্ছে। এই ফাঁদে পা দেবেন না। আমরা চাই না কোনও ধর্মস্থান রাজনীতিতে জড়িত থাকুক। যদিও কেউ তা করে বা কোথাও তা হয় তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক হিসাবেই দেখতে হবে। আশাকরি আপনারা ওদের ফাঁদে পা দেবেন না।’ বস্তুত মমতার এই বার্তা এর আগেও শোনা গিয়েছে, যদিও তাতে কান দিতে নারাজ আব্বাস নওশাদরা। এবারেও যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা কানে দেবে এমনটা ভাবা যাচ্ছে না। যদিও রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজ সেই বার্তা কতখানি কানে দেয় সেটা জানার জন্য আগ্রহ থেকেই যাচ্ছে।

Advertisement
Tags :
Advertisement