CAA কার্যকর করে পাকিস্তানিদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি সরকার, তোপ কেজরিওয়ালের
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA নিয়ে এবার সরব হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বুধবার লোকসভা নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ে সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,’এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাকিস্তানি ও বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের দরজা খুলে দিয়েছে বিজেপি। এটা দেশের জন্য বিপজ্জনক।‘
তিনি আরও বলেন,’ সিএএ কার্যকর হওয়ার ফলে বিশেষত আসামের মতো রাজ্যগুলির জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। এক দশক শাসন করার পরে, বিজেপির নাগরিকত্ব আইনের মতো বিতর্কিত বিষয় অবলম্বন করার পরিবর্তে তার সাফল্য প্রদর্শনের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত ছিল। তারা যদি ১০ বছরে ভাল কাজ করত, তাহলে সিএএ-র পরিবর্তে তারা নিজেদের কর্মকাণ্ডের জন্য ভোট চাইত।‘
কেজরিওয়াল দাবি , বিজেপি আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে পারে না, কিন্তু তারা পাকিস্তান থেকে ছেলেমেয়েদের চাকরি দিতে চায়। আমাদের অনেক লোক গৃহহীন কিন্তু বিজেপি পাকিস্তান থেকে আসা লোকদের জন্য এখানে বসতি স্থাপন করতে চায়। তারা আমাদের চাকরি অন্যদের সন্তানদের দিতে চায়।‘ লোকসভা ভোটের আগে এই আইন কার্যকর করা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। কেন্দ্রে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই ২০১৬ সালে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করেছিল। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনকে খানিকটা সংশোধন করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু-বৌদ্ধ- খ্রিস্টান-শিখ-পার্সি ও জৈনদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ওই বিল আনা হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে নিজেদের প্রচারে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ-সহ আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া রাজ্যগুলিতে ফায়দা লুটেছিল বিজেপি। ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর লোকসভায় এবং পরের দিন ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল বিল। সংসদের দুই কক্ষ ছাড়পত্র দেওয়ায় ১২ ডিসেম্বর বিলে স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। পরের বছর ১০ জানুয়ারি কার্যকরও হয় আইন। নয়া আইনের প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। উত্তাল হয়ে পড়ে একাধিক রাজ্য।