অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান
নিজস্ব প্রতিনিধি: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ চালিয়েছিল অভিযান। আর তার জেরেই আমবাগান থেকে বিজেপি প্রধান সহ ৬জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে একটি 7MM পিস্তল, ৮ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি ম্যাগাজিন ও ২টি মোটরবাইক। আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করার উদ্দেশ্যে ওই ৬ জন আমবাগানে জড়ো হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এত পরিমাণ অস্ত্র কোথা থেকে এল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই অস্ত্র কারবারের সঙ্গে আর কারা যুক্ত সে ব্যাপরে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধানও। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার(Malda District) সদর মহকুমার মানিকচক থানার(Manikchawk PS) নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত(Najirpur GP) এলাকায়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই প্রধান(BJP Pradhan) দেবাশিস মণ্ডল। তিনিও ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ পঞ্চায়েত প্রধান অস্ত্র কারবারের(Arms Dealer) সঙ্গে যুক্ত। সেই সন্দেহেই তাঁকে গ্রেফতার(Arrested) করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস মণ্ডল। অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিজেপি প্রধান দেবাশিস ছাড়াও আরও ৫জনকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই তালিকায় মানিকচক ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য সারবান মণ্ডলও রয়েছ বলে খবর। মানিকচক থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকচকের হরিপুর এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে আম বাগান থেকে বিজেপি প্রধান সহ এই ৬ জনকে অস্ত্র সমেত আটক করে। লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিভিন্ন জেলায় অস্ত্র ভান্ডারের হদিশ পাচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন জেলা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। এবার মালদাতেও অস্ত্র উদ্ধার করা হল। এতো পরিমাণ অস্ত্র কোনও নাশকতামূলক কাজের জন্য সংগ্রহ কেয়া হয়েছিল কিনা, সে বিষয়টি নিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার দক্ষিণ হরকুলি গ্রামে বিজেপির বুথ সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২২ সালে খানাকুলে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ডেটা এন্ট্রির দায়িত্বে ছিল ওই যুবক। ওই যুবক ষড়যন্ত্র করে ভুল ব্যক্তিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। জানা যায়, ২০২২ সালে খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের BDO-র কম্পিউটার হ্যাক করে শ্রীকান্ত তার পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেন। মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বরের জায়গায় তাঁর বাবা-সহ ময়নার ১২ জনের অ্যাকাউন্টের নম্বর দিয়ে দেন। এরপর সেই টাকা পৌঁছে যায় অশোক দাস সহ বাকিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সরকারি পরিষেবা নিয়ে প্রতারণা করার জন্য ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।