কেন ফল খারাপ হল, রিপোর্ট তলব বঙ্গ বিজেপির কাছ থেকে
নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের ভোটে শ্লোগান ছিল, ‘আব কে বার ২০০ পার’। যদিও দল থেমে গিয়েছিল লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও অনেক আগেই। আদতে তাঁদের থামিয়ে দিয়েছিল বাংলার জনতাই। এবারে দেশজুড়ে শ্লোগান ছিল ‘আবকে বার ৪০০ পার’। কিন্তু সেই শ্লোগানও বাস্তব হল না। থামিয়ে দিল দেশের জনতাই। সরকার একটা গড়া হচ্ছে অবশ্য কেন্দ্রে, তবে তার মেয়াদ নিয়ে সংশয় থাকছে অনেকেরই মধ্যে। এই অবস্থায় বাংলার মাটিতে দল কেন খারাপ ফল করল তা নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল পদ্মশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নজরে বঙ্গ বিজেপি(Bengal BJP)।
এবারের লোকসভা ভোটের কার্যত ১ বছর আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) বাংলায় এসে দলকে ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছিলেন। উনিশের ভোটে বাংলা থেকে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। সেই হিসাবে শাহি বার্তা ছিল আসন দ্বিগুণ করার। যদিও ২৪’র ভোটের মুখে সেই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ২৫ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক আসনেই আটকে গেল বিজেপি। ২টি নতুন আসন তাঁরা এবার পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু আগের বারের জেতা ৮টি আসনও তাঁরা হারিয়েছে। কেন এই হাল হল সেটাই এবার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে জানতে চাওয়া হল বঙ্গ বিজেপির কাছ থেকে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে বঙ্গ বিজেপিকে এই মর্মে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে দিল্লিতে গিয়ে।
সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের খারাপ ফলের জেরে এবার পদ্মশিবির বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বেশ কিছু নেতার যেমন পদ কাড়তে চলেছে, তেমনি বেশ কিছু নেতার ডানাও ছাঁটতে চলেছে। দল এবার বাংলার মাটিতে কোন নীতি নিয়ে এগোবে তা নিয়েই কাঁটাছেঁড়া হবে। একই সঙ্গে বাংলার বুকে যে ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে দলের ফল কী হবে, কোনও রণনীতি নিয়ে সেখানে এগোনো হবে, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক জাঋ বদলানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাঁদের নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।