বউবাজারে একটি পুরনো বাড়ির বেশ কিছু অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ল
নিজস্ব প্রতিনিধি: মধ্য কলকাতার বৌবাজারে মঙ্গলবার সকালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো একটি পুরোনো বাড়ির বেশ কিছুটা অংশ। হতা হতের এখনো পর্যন্ত কোনো খবর নেই। খবর শুনেই ঘটনাস্থলের উদ্যেশে এক যোগে রওনা দেয় সিভিল ডিফেন্স, কলকাতা পৌরসভার কর্মীরা,দমকল বিভাগ ও বউবাজার থানার পুলিশ। ধ্বংসস্তূপের তলায় কেউ আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে(Biswarup Dey)। তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, একটি পুরনো বাড়ির একটি শরিকি অংশ ভাঙ্গা হচ্ছিল। যারা এই পুরনো বাড়িটির অংশ ভাঙছিলেন সেই শ্রমিকদের অসতর্কতায় পাশের অংশের বেশ কিছুটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বিশ্বরূপ দে দাবী করেন, নতুন বাড়ি তৈরি করার ক্ষেত্রে কলকাতা পৌরসভার(KMC) একাধিক নির্দেশিকা ও আইন রয়েছে।
কিন্তু পুরানো বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে এরকম কোন নির্দেশিকা বা আইন নেই। এই ঘটনার পর এবার পুরসভাকে পুরনো বাড়ি ভাঙার ক্ষেত্রে এ নিয়ে নয়া আইন প্রণয়নের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবি এই পুরানো বাড়িটির একটি অংশ ভাঙ্গার আগে উভয় পক্ষের অংশীদারদের ডেকে প্রোমোটারের সামনে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কাজ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এমন কিছু যেন না ঘটে, যাতে অপরের ক্ষতি হয়। কিন্তু শ্রমিকরা তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এই অঘটন ঘটেছে। মধ্য কলকাতার মুচিপাড়া থানায় এলাকার লেবুতলা পাঠ সংলগ্ন ওই বাড়িটিতে দুই অংশীদারের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে একটি অংশীদার সেখানে পুরনো অংশটি ভেঙে নতুনভাবে প্রমোটিং করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই কাজ করতে গিয়েই এই অঘটন ঘটে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর পুরনো বাড়ির একটি অংশ যেখানে ভেঙে পড়ে সেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়(Tapas Roy)। পুলিশ ওই ফোটানো বাড়িত যে অংশটি ভেঙে পড়েছে সেই এলাকাটি কে ঘিরে রেখেছে। আপাতত ওই পুরনো বাড়ির একটি অংশ ভাঙার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ পাশের বাড়ির প্রোমোটারের অতিরিক্ত তাড়াহুড়তে কাজ শেষ করতে যাওয়ার দরুণ এই অঘটন ঘটেছে। ওই বাড়ির এক মহিলা বাসিন্দা জানান গঠনটি যখন ঘটে তখন তিনি রান্না করছিলেন হঠাৎ থর থর করে কেঁপে ওঠে গোটা বাড়িটি। তার রান্নার গ্যাস দপ করে নিভে যায়। তারপর এই বিরাট আওয়াজ হয়। হুড় মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পুরনো দেওয়াল। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের দাবি তাদের অংশটি নিয়মিত মেরামতি করা হতো। কখনোই জরাজীর্ণ অবস্থা ছিল না। পাশের বাড়ির প্রোমোটারের লেবাররা অসতর্কতা দরুন তাড়াহুড়ো করে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু করাতেই এই অঘটন ঘটে।