For the best experience, open
https://m.eimuhurte.com
on your mobile browser.
OthersWeb Stories খেলা ছবিঘরতৃণমূলে ফিরলেন অর্জুন সিংবাংলাদেশপ্রযুক্তি-বাণিজ্যদেশকলকাতাকৃষিকাজ বিনোদন শিক্ষা - কর্মসংস্থান শারদোৎসব লাইফস্টাইলরাশিফলরান্নাবান্না রাজ্য বিবিধ আন্তর্জাতিককরোনাএকুশে জুলাইআলোকপাতঅন্য খবর
Advertisement

‘বিপর্যয়ের নাম আনন্দ বোস, চলে যাওয়ার সময় এগিয়ে এসেছে’, তোপ ব্রাত্যের

বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে তোপ দাগলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বোসকে কার্যত বিপর্যয় বলেই দেগে দিলেন তিনি।
04:47 PM Jun 15, 2024 IST | Koushik Dey Sarkar
‘বিপর্যয়ের নাম আনন্দ বোস  চলে যাওয়ার সময় এগিয়ে এসেছে’  তোপ ব্রাত্যের
Courtesy - Google
Advertisement

নিজস্ব প্রতিনিধি: উচ্চশিক্ষায়(Higher Education) এক ধরনের বিপর্যয় চলছে, সেই বিপর্যয়ের নাম আনন্দ বোস(C V Anand Bose)। তাদের চলে যাওয়ার সময় এগিয়ে এসেছে, ওরা শিক্ষা ব্যবস্থার গৈরিকীকরণের চেষ্টা করছে। বিপর্যয়ের কুজ্ঝটিকা বন্ধ হওয়ার অপেক্ষায়।’ এই সব শব্দের মেলবন্ধনেই বাংলার রাজ্যপাল(Governor of West Bengal) সি ভি আনন্দ বোসকে তোপ দাগলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী(Education Ministry of Bengal) ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। শনিবার রাজ্যের এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রাত্য। সেই সঙ্গে National Eligibility Entrance Test বা NEET পরীক্ষায় হওয়া দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকার ও বিজেপিকে নিশানা বানিয়েছেন ব্রাত্য। দাবি তুলেছেন, ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার দায়িত্বভার যেন আবারও রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা বা NEET পরীক্ষার ফলাফলে কারচুপির বিপুল অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনার জেরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ব্রাত্য।

Advertisement

এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাত্য দাবি করেছেন, ‘NEET পরীক্ষায় হওয়া দুর্নীতি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। হাজার-হাজার পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হল। অনেক Talk Show হল। তদন্ত হল। গ্রেফতারও হল। কিন্তু কেন্দ্রের এই NEET যা সারা ভারতের ক্ষেত্রে খুব সম্মানের পরীক্ষা সেটার ক্ষেত্রে যা হল তা এখন গোটা ভারত দেখছে। তার জন্য কোনও তদন্ত হবে না? CBI আর ED মাঠে নামবে না? এই ব্যর্থতার পর আমার মনে হয় ওদেরই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। আগে তো রাজ্যই মেডিক্যাল পরীক্ষা নিত।’ এদিন স্নাতক স্তরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিয়ে পোর্টাল চালুর কথাও জানিয়েছেন ব্রাত্য। বলেছেন, ‘স্নাতক স্তরে ছাত্র ভর্তির বিষয় মঙ্গল- বুধবারের মধ্য স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে, খুব তাড়াতাড়ি পোর্টাল উদ্বোধন হবে।’

Advertisement

উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের বোর্ডগুলি পৃথকভাবে মেডিকেলে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত এবং রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলিতে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভর্তি হতেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে একটিই পরীক্ষা হয়। যা সর্বভারতীয় স্তরে হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১৪-২০১৫ সালেও তা চালু করা যায়নি। কারণ এই ঘটনায় বেশ কিছু বোর্ড আপত্তি করে। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থির হয় সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার কাউন্সিলিং হবে। চিকিৎসকরা বিভিন্ন রাজ্যে-রাজ্যে যাবেন। তবে এই নিট পরীক্ষা পুনরায় রাজ্যের হাতে ফেরত আসবে না বলাই যায়। কারণ এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে ক্যাবিনেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা ছাড়া পুনরায় রাজ্যের হাতে পরীক্ষা আসা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে শিক্ষকমহল।   

Advertisement
Tags :
Advertisement