কোন জাদুতে ৩ বছরে ১০ লাখ হল ১০ কোটি, শিশিরকে প্রশ্ন কুণালের
নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি সপ্তাহের বুধবার নাম না করে অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে।’ এর জবাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) নিজের আয়কর রিটার্নের নথি সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছিলেন। শুক্রবার তৃণমূলের(TMC) রাজ্য সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারী ব্রাদার্স, অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের আর্থিক দুর্নীতি সামনে আসবে। সব কিছুর উত্তর দিতে হবে। এই ঘড়ি ধরে বলছি। এসবের উত্তরও দিতে হবে তাঁদের।’ দেখা গেল শনি সকালেই নিজের কথা রেখেছেন কুণাল। এদিন ট্যুইট করে তিনি শুভেন্দুর বাবা তথা তৃণমূলেরই সাংসদ শিশির অধিকারীর(Sishir Adhikari) সম্পত্তি নিয়ে প্রমাণ সহকারে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। কার্যত শিশির অধিকারীর সম্পত্তির(Property Imbalance) গরমিলের অভিযোগই তুলেছেন তিনি।
এদিনের ট্যুইটে কুণাল লেখেন, ‘শিশির অধিকারী। ২০০৯: নির্বাচনী হলফনামা: মোট সম্পদ ১০ লাখ , তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ২০১২: প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ঘোষণা: মোট সম্পদ ১০ কোটি । ২০১৯: ৩ কোটি । প্রশ্ন: তথ্য ঠিক না ভুল? ১০ লাখ তিন বছরে ১০ কোটি হল কী করে? ১০ কোটি কী করে কমে ৩ কোটি হল? এটা কোন জাদু?’ নিজের বয়ানের সপক্ষে ট্যুইটে নির্বাচন কমিশন এবং ভারত সরকারকে দেওয়া শিশিরবাবুর বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন কুণাল। তাতে দাবি করা হয়েছে, ২০০৯ সালে সাংসদ হিসেবে শিশির অধিকারী নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি। তিন বছরের ব্যবধানে, ২০১২ সালে তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ভারত সরকারকে জমা দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে শিশিরবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটির কিছু বেশি। আবার ২০১৯ সালে লোকসভার সময় কমিশনকে জমা দেওয়া শিশিরবাবুর তথ্য অনুযায়ী তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটির কিছু বেশি। কুণালের এই ট্যুইটকে ঘিরেই এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।