বনগাঁতে শংকর আঢ্য ও গোপাল শেঠের বাড়িতে সিবিআই টিম
নিজস্ব প্রতিনিধি,বনগাঁ: সিবিআই এর ওপরে হামলার ঘটনায় ও রেশন দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজতে থাকা বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্যর(Sankar Addhya) বাড়িতে সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল হাজির হন। তাদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল।সিবিআইয়ের ওপর হামলার ঘটনার দিন ঠিক কি হয়েছিল সেটা খতিয়ে দেখতে থ্রি ডি ক্যামেরা দিয়ে শঙ্করের বাড়ির ছবি তোলা হয়। এছাড়াও সিএফএসএল আধিকারিকরা আরো বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি এদিন বনগাঁ পৌরসভার(Banga Municipality) বর্তমান চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা গোপাল শেঠের বাড়িতেও হাজির হন সিবিআই-এর দুই প্রতিনিধি।
তারা দীর্ঘক্ষণ গোপাল শেঠের(Gopal Seth) সঙ্গে কথা বলেন শংকর আঢ্যর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে।সন্দেশখালিকান্ড নিয়ে সিবিআই সোমবার তলব করে প্রধান সহ তিনকে।৫ই জানুয়ারি কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের ৮ প্রতিনিধি দল সরবেড়িয়া আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যান।রেশন দুর্নীতি কান্ডে তদন্ত করতে গিয়ে বাড়িতে ঢুকতে না পেরে কিছু সময় অপেক্ষা করার পর শেখ শাহাজানের বাড়ির মূল গেটের তালা ভাঙতে গেলে জনরোষের শিকার হন ইডি আধিকারিকরা। ভাঙচুর করা হয় একাধিক গাড়িতে । নষ্ট করা হয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সেই ব্যাপারে নেজ্যাট থানায় পক্ষ উভয়পক্ষের অভিযোগ হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ শাহাজানকে(Sk.Sahazahan) গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশ তারপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার পায় সিবিআই(CBI) তারপর কেটে গেল ১০ দিন সেই ঘটনায় সময়ের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ তিনজনকে।তাদের সোমবার সিবিআই তলব করে।
বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে সোমবার সাত সকালে সিবিআই-এর হানা। বনগাঁর শিমুলতলা অঞ্চলে তার বসত ভিটেতে এদিন সিবিআই-এর একটি বিশাল দল হাজির হন। সিবিআই দলের সঙ্গে ছিলেন ফরেন্সিক (সিএফএসএল) দলের ৪ সদস্য।সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানদের মারধরের মামলায় সরবেরিয়া আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা সহ মোট ১০ জনকে তলব করে সিবিআই । তার মধ্যে সরবেরিয়া আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জিয়াউদ্দিন মোল্লা(Ziauddin Molla) সহ মোট ৬ জন নিজাম প্যালেস সিবিআই দফতরে এসে পৌঁছন। জিয়াউদ্দিন মোল্লা তার আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আসেন ।CBI ডেকেছে সহযোগিতা করব, আইনের ওপরেও আমার আস্থা আছে । কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে সোমবার সকালে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই এই মন্তব্যজিয়াউদ্দিন মোল্লার। এদিকে,সাড়ে তিন ঘণ্টা তদন্ত করবার পর বনগাঁ থেকে বেরিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা। তবে শঙ্করের বাড়ির ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে বেশ কিছু সিসিটিভি ক্যামেরা। সেটির তার খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই বিষয়ে পৌরসভা কে নোটিশ দিয়ে জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা।