কাওয়াখালিতে সরকারি জমি দখল নিয়ে তদন্তের নির্দেশ মমতার
নিজস্ব প্রতিনিধি: শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে সরকারি জমি দখল নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকাকে তদন্ত করার পাশাপাশি জমি হাঙ্গরদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জমি হাঙ্গরদের পিছনে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ঢিলেমি না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেবকেও তুলোধনা করেছেন।
সোমবার নবান্নের সভাঘরে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যান-সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী এবং বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ আমলাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই কার্যত রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন তিনি। বিধাননগরে সরকারি জমি বেদখল নিয়ে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে কাঠগড়ায় তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ সে দিন ওয়েবেলের সামনের (বিধাননগর) রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। দেখলাম একের পর এক দোকান বসিয়ে দিয়েছে। দেখতে ভাল লাগছে? রাজারহাটে সুজিত লোক বসাচ্ছে কম্পিটিশন করে।’ একাংশ টাকা খেয়ে এবং টাকা খাইয়ে সরকারি জমি দখল করছে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে একটা ল্যান্ড মাফিয়া গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। ওই ল্যান্ড মাফিয়া গ্রুপ জমির পর জমি গ্রাস করে নিচ্ছে। আগেও এ বিষয়ে আমি সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। টাকার বিনিময়ে জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কেউ কেউ অনৈতিক এবং অবৈধ ভাবে জমি ‘ভরানোর’ কাজ করছেন। ‘অনেকে আছেন এর মধ্যে। নাম বলে কাউকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাই না। তবে একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই তাঁরা লোক বসাচ্ছেন। বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ সবে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে লক্ষ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গৌতম দেব এখানে রয়েছে। তাঁকে বলছি, তুমি এর দায় অস্বীকার করতে পারো না।’ এর পরেই কাওয়াখালি এবং ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে জমি দখল চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে মমতা বলেন, ‘মুখ্যসচিবকে বলছি, তদন্ত করুন। যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড়বেন না। কঠোর ব্যবস্থা নিন।’